ভোলার মনপুরায় স্পিডবোটে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জড়িত বাকি আসামিদেরকেও খোঁজা হচ্ছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে দক্ষিণ সাকুচিয়ায় পলাতক অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে, ধর্ষণের ঘটনাটি গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়লে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে তারা। গ্রেফতার করে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নজরুল ইসলামকে।
মনপুরা দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ কাজল জানান, ‘এনিয়ে মনপুরা ছাত্রলীগের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন সংগঠনটির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এ ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে। আবার কেউ বলছেন অপরাধী যেই হোক তার বিচার করতে হবে।’
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, আসামিরা ধর্ষণ শেষে ঘটনাস্থল থেকেই পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কয়েকটি দল মনপুরার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিশুর সামনে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান
উল্লেখ্য, গত শনিবার চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচার বাবার বাড়ি থেকে বেতুয়া লঞ্চঘাট হয়ে মনপুরায় শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে গণধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ। দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের বেলাল পাটোয়ারী (৩৫), মো. রাসেদ পালোয়ান (২৫), শাহীন খান (২২) ও কিরন (২৬) জোর পূর্বক বোটটিকে পার্শ্ববর্তী চরপিয়াল নিয়ে আড়াই বছরের শিশু সন্তানের সামনেই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তারা।
পরে বোটের মালিক দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম (৩০) আরেকটি স্পিডবোট নিয়ে চর পিয়াল গিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। নজরুল ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে এবং বিষয়টি নিয়ে কথা বললে ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অলি উল্লাহ কাজল জানান, চরে থাকা মহিষের বাথানিয়ারা (পালক) ঘটনাটি তাকে জানালে তিনি মনপুরা থানার ওসিকে বলেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চরপিয়াল থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে মনপুরা থানায় নিয়ে আসে।