১০ টাকার চিপস ফেরিতে ১৫ টাকা!

মানিকগঞ্জ, দেশের খবর

খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মানিকগঞ্জ | 2023-08-28 09:00:43

রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। বাস, ট্রাক ও ছোট গাড়ি মিলে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার যানবাহন পারাপার হয় এই নৌরুট দিয়ে।

দীর্ঘ সড়ক পথের যাত্রা বিরতির দেখা মিলে ফেরিতে। পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট আসতে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয় আধা ঘণ্টা বা তার কিছু বেশি সময়। এই সময়ে ফেরির ক্যানটিনে চা বা হালকা খাবার খায় অনেকেই। কেউ কেউ আবার ভরপুর খাওয়াদাওয়াও করে।

তবে ফেরির ক্যানটিনে সব খাবারেরই অতিরিক্ত দাম রাখা হয়। বিশেষ করে নৌরুট হয়ে যাতায়াত করা নিয়মিত যাত্রীদের বেশির ভাগই অনীহা ক্যানটিনের প্রতি। কখনো আবার ক্যানটিনে অতিরিক্ত দামের বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়।

ফরিদপুরগামী যাত্রী আফসানা রুমী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ঢাকা থেকে রওনা হয়ে পথিমধ্যে যাত্রা বিরতির কোনো সুযোগ নেই। তবে ফেরিতে নেমে কিছু খাওয়া যায়। কিন্তু দাম খুব বেশি।

বরিশালের গোল্ডেনলাইন পরিবহনের যাত্রী হুমাইরা খান জানান, ১০ টাকার একটা চিপস ফেরির ক্যানটিনে বিক্রি হয় ১৫ টাকা। ৫ টাকার লাল চা ১০ টাকা। ১৫ টাকার এক প্যাকেট বিস্কুট ২৫ টাকা। খাবারের দাম অতিরিক্ত হওয়ায় মন চাইলেও বেশি কিছু খাওয়ার উপায় নেই। তবে ন্যায্য মূল্যে খাবার বিক্রির জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ফেরির ক্যানটিনের বিক্রেতা আরিফ হোসেন জানান, রাত-দিন ২৪ ঘণ্টায় ক্যানটিনের ভাড়া বাবদ ইজারাদার আলাল চেয়ারম্যানের লোজজনকে ২৫শ টাকা দিতে হয়। ক্যানটিনে দুইজন শ্রমিকের বেতন আছে। যে কারণে প্রতিটি খাবারে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাল হোসেন জানান, এক সময় ফেরির ক্যানটিনে ব্যবসা করেছেন। তবে এখন এই ব্যবসা করেন না তিনি।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, নির্ধারিত দামের অধিক মূল্যে খাবার বিক্রি করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর