পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় কৃষি জমিতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় ভূমি ধসের সৃষ্টি হচ্ছে। কোনো ধরনের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে এসব বালু উত্তোলন করায় আশপাশের কৃষি জমি ও পুকুরের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে, মরে গেছে পুকুরের মাছ। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে অচিরেই এ এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয়ের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন দেখা যায়, কুয়াকাটার লতাচাপলি ইউনিয়নের মুসুল্লিয়াবাদ গ্রামের কৃষি জমিতে ড্রেজার বসিয়ে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। গত দুই মাসেরও বেশি সময় যাবৎ বালু তুলে তা সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জমি ভরাটের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এ বালু উত্তোলনে জড়িত রয়েছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী গ্রুপ। এ কারণে সরকারের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি বলে জানান ভুক্তভোগীরা। উল্টো তাদের হামলা-মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে।
যে জমি থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তার পাশের জমির মালিক ইমরান বিশ্বাস জানান, উপজেলা প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসক, সবার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার মেলেনি। বর্তমানে ফসলের মাঠ শুকিয়ে যাচ্ছে, পুকুর শুকিয়ে মাছ মরে যাচ্ছে, গাছ পালাগুলো কেমন যেমন বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। যে জমিতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে বর্তমানে সমতল ভূমি থেকে ৪০ কিংবা ৫০ ফুট গভীর করা হয়েছে। যার ফলে আশ পাশের সকল জমির মাটি ও বালু সেখানে গিয়ে পড়ছে। এ থেকে স্থানীয়রা মুক্তি চায়।
বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে গেলে দ্রুত অভিযুক্তরা ওই এলাকা থেকে চলে যায়। এ সময় তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করে বালু উত্তোলনের ঘটনায় একাধিকবার উপজেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। নতুন করে বালু উত্তোলন করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আবারও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
এদিকে অবৈধ এ বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে একটি রিট দাখিল করা হবে বলে জানা যায়।