পঞ্চগড়ের উত্তরের হিমেল হাওয়া ফলে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয়ের পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত হালকা কুয়াশা ও বাতাস জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। হালকা শীত পড়ায় অনেকেই গরম কাপড় পরিধান করেই বের হচ্ছেন।
প্রতিবছর শীতের আগমন ঘটলে পঞ্চগড়ের ৫টি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের ফুটপাতে গড়ে উঠেছে পিঠার দোকান। কেউ সকালে আবার কেউ সন্ধ্যায় দোকান বসিয়ে পিঠা বিক্রি করেন। আর এই পিঠা বিক্রি করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করছেন।
শনিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা যায় ভাঁপা পিঠার দোকান। এবং দোকানে ভীর করছে সাধারণ ক্রেতারা।
পিঠা দোকানদার শরিফুল ইসলাম জানান, 'আমি প্রতি বছর শীতকালে পিঠার দোকান বসিয়ে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করি। আর এতে যা আয় করি তা দিয়ে সংসার চালাই'।
পঞ্চগড়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন কারিগর ও নাট্যদল ভূমিজের সভাপতি সরকার হায়দার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, 'পিঠা হলো বাঙ্গালীর ঐতিহ্যের একটি খাবার। শীতকাল আসলেই বিভিন্ন হাটবাজারে ভাঁপা পিঠার দোকান বসে আর সবাই গিয়ে মজা করে খাই ভাঁপা পিঠা'।
তবে এলাকার চাহিদার ভেদে ভাঁপা পিঠার পাশাপাশি নারিকেল, তেলপিঠাও পাওয়া যাচ্ছে এসব দোকানে। প্রতি পিস পিঠা বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা দরে।