বগুড়ার শিবগঞ্জে এক নারীকে খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ। বরং ফুলকপি ক্ষেত নষ্টের অভিযোগে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেয়া হয়। কিন্তু, ওই নারীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পেয়ে তাকেই মারপিটের করার অভিযোগে নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়।তবে রোববার (০৩ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত থানায় মামলা নেওয়া হয়নি।
তবে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেছেন, পুলিশের কাছে নির্যাতনের বিষয়ে কোন অভিযোগ করেননি ওই নারী। তার পরেও মামলা নেয়ার জন্য তাকে খোঁজা হচ্ছে।
জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের অনন্তবালা গ্রামের শিল্পী বেগম (৪০) নামের এক নারীকে শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে কপির জমিতে চারা নষ্ট করার অভিযোগ একই গ্রামের রাফি ও তার লোকজন বাঁশের খুঁটির সাথে হাত-পা বেঁধে মারপিট করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। থানা পুলিশ ওই নারীকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভ্রাম্যমাণ আদালতে নিয়ে যায়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ওই নারীকেই বাদী করে নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা নিতে পুলিশকে নির্দেশনা দেন। কিন্তু থানায় কোনো মামলা না নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সদরের পলাশবাড়ি গ্রামের শিল্পী বেগম (৪০) নামের ওই নারী গৃহ নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। অনন্তবালা গ্রামের শহিদুলের ছেলে রাফি তাকে ৮/৯ মাস পূর্বে বিয়ে করে। গত এক মাসেও রাফি তার স্ত্রী শিল্পীর খোঁজখবর না নেওয়ায় তিনি শুক্রবার সকালে অনন্তবালা গ্রামে রাফির বাড়িতে গেলে রাফি ও তার পরিবারের লোকজন ফুল কপি ক্ষেতের মধ্যে বাঁশের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে। পরে গ্রাম পুলিশ দিয়ে তাকে থানায় পাঠানো হয়।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ওই নারী তাকে নির্যাতনের কথা জানান নি। তার পরেও ওই নারীর খোঁজ করা হচ্ছে মামলা নেয়ার জন্য।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়ার মত কোন অভিযোগ ছিল না ওই নারী বিরুদ্ধে। বরং তাকে বাদী করে নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেয়ার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে