নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা জেলেপাড়া এলাকায় একটি বটগাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় হালিমা খাতুন (১৩) নামে এক মাদরাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হালিমা চান্দাই গাড়ফা উলুম দাখিল মাদরাসার ছাত্রী ও একই গ্রামের জেলে হাসান আলীর মেয়ে।
হালিমার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, একই গ্রামের জেলে আবু মুসার ছেলে আবু লাদেন হালিমাকে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে হত্যা করেছে।
হালিমার বাবা হাসান আলী জানান, বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাতায়াতের পথে হালিমাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত লাদেন। এ নিয়ে লাদেনের পরিবারের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করা হয়। গত জুন মাসে লাদেনের বিয়ে দেয় তার পরিবার। বিয়ের মাসখানেক পর হালিমাকে আবারো উত্ত্যক্ত করতে থাকে লাদেন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর থেকে হালিমাকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে স্বজনরা। কিন্তু তারা হালিমার সন্ধান পায়নি। আজ সকালে ওই এলাকা থেকে হালিমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হালিমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন বাবা হাসান আলী।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ দীলিপ কুমার দাস জানান, ধারণা করা হচ্ছে হালিমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।