লক্ষ্মীপুর সদরের চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়ালের বিরুদ্ধে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতরে জেলে শাহজালাল মোল্লা এ অভিযোগ করেন। এতে ইউসুফ ছৈয়ালসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই জনপ্রতিনিধি বলছেন, বিষয়টি প্রশাসন তদন্ত করছে।
অভিযুক্ত অন্যরা হলেন, ইউসুফ ছৈয়ালের ছেলে ইয়াকুব ছৈয়াল, কাজল ছৈয়াল, তাদের অনুসারী জিল্লাল সর্দার, ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ফিরোজ আলম, আনু, সালাহ আহম্মদ, সাদ্দাম, ইলিয়াছ, এমরানসহ অজ্ঞাত ২৫ জন। অভিযোগকারী শাহজালাল একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রহমান মোল্লার ছেলে ও পেশায় জেলে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সদর উপজেলার মেঘনা নদীর উত্তর চররমনী থেকে মেঘা পর্যন্ত ১৫-২০টি চরে প্রায় ৪০ জন জেলে গছি জাল দিয়ে মাছ শিকার করে আসছে। এরমধ্যে হোলার চর, দিঘলা চর, পাতার চর ও হটকের চর রয়েছে। কয়েক বছর ধরে ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়াল লোকজন দিয়ে জেলেদের কাছ থেকে প্রতিটি চরের জন্য ২ থেকে ৩ লাখ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছেন। এবার দাবি করা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় নদী থেকে জেলেদের জাল উঠিয়ে ফেলা হয়। মাছ ধরতে না দেওয়ায় জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে রয়েছে।
চেয়ারম্যানের এ অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য তারা জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
ভুক্তভোগী জেলে শাহজালাল মোল্লা বলেন, ‘ইউসুফ ছৈয়াল গত বছর ৪ লাখ টাকা নিয়ে আমাদের নদীতে মাছ ধরতে দিয়েছে। এবার টাকা না দেওয়ায় আমাদের জাল ফেলে দিয়েছে। মাছ ধরতে দিচ্ছে না।'
জানতে চাইলে চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল বলেন, ‘অভিযোগ করার বিষয়টি শুনেছি। প্রশাসন এটি তদন্ত করছে। আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ সঠিক নয়।'
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগটি পেয়েছি। কয়েকটি চর নিয়ে বিরোধ রয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি গুরুত্বের সহকারে তদন্ত চলছে।'