ধর্ষণচেষ্টার মামলা আপস করায় ভিকটিমকে বেদম পিটিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। বগুড়ার গাবতলী উপজেলার খুপি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই তদন্ত কর্মকর্তা গাবতলী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন মিয়াকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন,‘অভিযোগ পাওয়ার পর রিপন মিয়াকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হবে।’
এদিকে মারধরের ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় ধর্ষণচেষ্টা মামলার ভিকটিমকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভিকটিম জানান, তিনি গাবতলী উপজেলার একটি কলেজের শিক্ষার্থী। একই কলেজে পড়তেন বর্তমানে তার স্বামী সুইট। গত সেপ্টেম্বর মাসে কলেজ থেকে ফেরার পথে সুইট তাকে উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সুইটের নামে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ গত ১৫ সেপ্টেম্বর সুইটকে গ্রেফতার করে।
পরবর্তীতে উভয় পরিবার বিয়ের সিদ্ধান্তে উপনীত হলে মামলার আপস মীমাংসা হয়। সেই আপসনামা আদালতে দাখিল করে গত ৩১ অক্টোবর জামিনে মুক্ত হন সুইট। এরপর শুক্রবার (১ নভেম্বর) পরিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। মামলা আপস এবং বিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিপন মিয়া রোববার (৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে পুলিশ নিয়ে সুইটের বাড়িতে যান।
এসময় তিনি সুইটের খোঁজ করলে ভিকটিম কারণ জানতে চান। এতে এসআই রিপন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাকে না জানিয়ে কেন মামলা আপস করা হলো সেটি জানতে চান তিনি। সেইসঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন। প্রতিবাদ করলে এসআই রিপন তাকে বেদম মারপিট করেন। এসময় তার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে রিপন বাকি পুলিশ সদস্যদের নিয়ে চলে যায়।