হৃদয় চন্দ্র ঘোষ (২১) ও পপি আক্তার (১৯)। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত মঙ্গলবার প্রেমের টানে পপিকে নিয়ে বাড়ি ছাড়ে হৃদয়। খবর পেয়ে বুধবার রাতে মেয়ের পরিবার পপিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে হৃদয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের ঘোষপাড়া মহল্লায়। নিহত যুবক ওই মহল্লার মৃত অজিত ঘোষের ছেলে। আর পপি আক্তার একই মহল্লার সহুর উদ্দিনের মেয়ে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হৃদয় ঘোষ পেশায় গাড়ির হেলপার। কয়েক বছর পূর্বে প্রতিবেশী পপি আক্তারের সঙ্গে হৃদয়ের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। কিন্তু দুজন ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় পরিবার তাদের প্রেমের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর পপিকে নিয়ে হৃদয় বাড়ি থেকে পালিয়ে গাজীপুর জেলার মাওনা এলাকায় আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে মেয়ের পরিবারের লোকজন বুধবার রাতে মাওনা এলাকায় হৃদয়ের সঙ্গে দেখা করে পপিকে নিয়ে ঘোষপাড়া নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে ঘোষপাড়াস্থ বাড়ির সামনে কাঁঠাল গাছে হৃদয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী।
হৃদয়ের চাচাতো ভাই গোপাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, গতকাল বুধবার রাত দশটার দিকে হৃদয়ের সঙ্গে আমার মোবাইলে কথা হয়। ওই সময় সে জানায় আমি আসতে চাচ্ছিনা মেয়ের পরিবার আমাকে জোর করে নিয়ে আসতে চাচ্ছে। এতটুকু বলার পর সে লাইন কেটে দেয়। আমাদের ধারণা প্রতিশোধ নিতেই মেয়ের পরিবার হৃদয়কে হত্যা করে মরদেহ এখানে ঝুলিয়ে রেখেছে।
অপরদিকে প্রেমিকা পপি আক্তার বলেন, প্রেমের সম্পর্কের টানে আমি হৃদয়ের সঙ্গে ঘর ছেড়েছি। পরিবারের লোকজন যখন আমাকে নিয়ে আসে তখন হৃদয় বলছিলো আমাকে না পেলে সে আত্মহত্যা করবে। রাতে আমরা যে গাড়িতে বাড়ি ফিরি, হৃদয় সেই গাড়িতে আমাদের সঙ্গে আসেনি।
গৌরীপুর থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে। তবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।