ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার নদীবন্দর নির্মাণ (আইসিটি) প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত ভূমি ও অবকাঠামোর মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগে কাউকেই ক্ষতিপূরণ না দেয়ার দাবি জানিয়েছেন মামলার বাদীরা।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানিয়েছেন অর্ধশতাধিক মামলার বাদী। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চরচারতলা এলাকার আইসিটি মামলার বাদী মো. ওমর ফারুক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আদালতে শতাধিক মামলা চলমান থাকার পরও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস মেহেদী চারচারতলা এলাকার মহরম পাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত মিল মালিক ফজলু মিয়া ৪ কোটি ৩৩ লাখ ১৫ হাজার ৮৪০ টাকা ও সামসু মিয়া ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৯১ হাজার ৬৭৫ টাকার চেক প্রদান করেছেন, যা মোটেও ঠিক করেননি। চরচারতলা মৌজার আইসিটি অন্য যেসব মামলা রয়েছে সেগুলো নিষ্পত্তি না হওয়ার আগে আর কোন চেক প্রদান করা যাবে না।
আশুগঞ্জের অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার নদীবন্দর নির্মাণ (আইসিটি) প্রকল্পের ৩৩১৫ দাগের ২০৯ শতক জায়গা, ৩৩১৬ দাগের ৩৬ শতক জায়গা, ৩৩১৭ দাগের ২৮ শতক জায়গা নিয়ে মামলা চলমান আছে। অবকাঠামোর বিষয়েও আদালতে মামলা চলছে। তাই অবকাঠামোর বিষয়ে আদালত থেকে চূড়ান্ত সমাধান না হওয়ার আগে কাউকেই যেন কোন ক্ষতিপূরণ না দেয়া হয় সেই বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি-কামনা করেন তারা।
এসময় অধিগ্রহণকৃত যায়গা নিয়ে মামলার বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক গোলাপ, রেহেনু হক, আব্দুল মন্নাফ, মো. শামীম চৌধুরী সোহাগ, হাজি বাচ্চু মিয়াসহ অর্ধশতাধিক মামলার বাদী উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে উপস্থিত এলাকাবাসী একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ইলিয়াস মেহেদী জানান, সামসু মিয়া ও ফজলু মিয়ার অবকাঠামোর বিষয়ে আইনগত কোন বাধা না থাকায় ও অভিযোগের বিপরীতে কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের চেক প্রদান করা হয়েছে। বাকিদের বিষয়েও গণশুনানী চলমান রয়েছে।