নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ৩৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৯ হাজার উপকূলবাসী আশ্রয় নিয়েছেন।
এ ছাড়াও সাড়ে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ইসাত সাদনীন এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, দ্বীপ উপজেলার হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, নামার বাজার, ডালচর গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রাম, জনতার ঘাট, তোতার বাজার, সোলায়মান বাজার, শান্তির ঘাট এলাকার ৬ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী, চর হাজারী ও মুছাপুর ইউনিয়নের উপকূলীয় অংশের ৩ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। এছাড়া অন্যান্য এলাকার পাঁচ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা যায়, প্রস্তুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, চাল, নগদ অর্থ ও টিনসহ ৩৬৪টি আশ্রয়নকেন্দ্র ও ৬৫০০ স্বেচ্ছাসেবক।
এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকল ধরনের নৌ-যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যার নম্বর ০১৭০৫৪০১০০১।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর প্রভাবে নোয়াখালী জেলাকে (৯ নম্বর) মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে, একই সাথে নদীতে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার অনুরোধ করা হয় এবং সকল ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া সার্বক্ষণিক উপকূলীয় এলাকার প্রতিটি থানার পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করছে।