ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রবেশের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে এখন নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় সহস্রাধিক যানবাহন। সারা রাত ফেরি বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী, চালক ও শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিওউটিসি) কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে পদ্মা নদী রাতে কিছুটা অশান্ত হয়ে ওঠে। যার কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফেরি বন্ধ থাকার কারণে এই নৌরুটের উভয় পাশে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে দৌলতদিয়া প্রান্তে দেখা যায়, নদী পারের জন্য ঘাটে প্রায় সাড়ে চারশ যানবাহন অপেক্ষা করছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন অপেক্ষা করছে। আর গোয়ালন্দ মোড়ে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে প্রায় দেড় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
অপরদিকে, পাটুরিয়া প্রান্তে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক।
নদীপারের অপেক্ষায় থাকা দৌলতদিয়া প্রান্তের সোহাগ পরিবহনের যাত্রী মনিরুল ইসলাম বলেন, রাত ১০ টার দিকে ঘাটে এসেছি। এসে দেখি ফেরি চলাচল বন্ধ। যার কারণে আমাদের সারা রাত বাসের মধ্যেই সড়কে থাকতে হয়েছে
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিওউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে রাতে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যায়। যান কারণে আমরা সকল ধরনের দুর্ঘটনা থেকে যাত্রীদের রক্ষার জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করি। ফেরি বন্ধ থাকার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ রয়েছে।