‘মোরা আগেই জানি তারিকের বইন্যা হয়না। এবারও ফাও ফাও মানু জোনরে সেন্টারে উডাইছে। গত ফিরও হুগনা বইন্যা হইছে আর এবার হুগনা বইন্যা হইলো।’
পটুয়াখালী পায়রাকুজ্ঞ ফেরিঘাটে ৬০ উর্দ্ধ বয়সের সোবহান সিকদার এভাবেই তার অভিমত ব্যক্ত করেন।
গত বছর ঘূর্ণিঝড় ফণীতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হলেও উপকূলে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি এবং ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। এ কারণে ব্যঙ্গ করে স্থানীয় ভাষায় হুগনা বইন্যা হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।
তবে এবারও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হলেও ঝড়ে তেমন কোনো প্রভাব না পড়ায় এই ঘূর্ণিঝড়কেও হুগনা বইন্যা (বন্যা) হিসেবে দেখছে পটুয়াখালী সহ দক্ষিণ উপকূলের মানুষ।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ তথ্য মতে জেলায় ৮৫টি কাঁচা বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১৮২টি গাছপালা উপড়ে কিংবা ভেঙে গেছে। তবে এই তালিকা আরও বাড়তে পারে।
ফলে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল নিয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার যে পরিমাণ প্রস্তুতি তার আংশিকও কাজে লাগেনি । আর বার বার ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস ও সতর্ক সংকেত জারি করা হলেও সে অনুপাতে প্রভাব না পড়ায় আবহাওয়া বিভাগের সংকেতের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা কমছে বলেও মনে করেন উপকূলের সাধারণ মানুষ।