ঘূর্ণিঝড় বুলবুল'র প্রভাবে সৃষ্ট টর্নেডোর আঘাতে ভোলার লালমোহনের ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো গৃহ নির্মাণ সামগ্রী পায়নি। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর প্রতি মাত্র ২০ কেজি চাল ছাড়া আর কিছুই দেয়া হয়নি তাদের। এমনকি চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে আহত অনেকেই। ঘর চাপা পড়ে আহত হবার পর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তেমন কোনো চিকিৎসা সেবা মেলেনি ক্ষতিগ্রস্তদের।
ঘূর্ণিঝড়ে আহত মো. আরিফ জানান, টর্নেডোর আঘাতে তাদের বসত ঘরটি উড়ে যায়। এ সময় বাবা-মা ভাইসহ পরিবারের ছয় জন আহত হয়েছেন। কিন্তু তারা এখনও কোনো চিকিৎসা পাননি।
ক্ষতিগ্রস্ত মো. আলী হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে তার বসত ঘরটি সম্পূর্ণ উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এতে তার স্ত্রী সাজেদা আক্তার ও ছেলে শরীফ আহত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর ওই এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কোনো মেডিকেল টিম পাওয়া যায়নি। এমনকি আহত অবস্থায় লালমোহন হাসপাতালে তাদেরকে ভর্তি করার হলেও সেখানে চিকিৎসা না পেয়ে সকালে তারা বাড়ি চলে যান।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে আসতে পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি বলেন, 'আমরা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। প্রশাসনের পক্ষ ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, যাদের ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হবে।