রংপুরের পীরগাছায় এনজিও কর্মী স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের চৌধুরাণী বাজারে ব্র্যাকের শাখা অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
খুন হওয়া ওই এনজিও কর্মী হলেন- তাসলিমা আক্তার লুনি (২৫)। তিনি উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের সুবিদ গ্রামের তোজাম্মেল হকের মেয়ে। ব্র্যাকের চৌধুরাণী শাখার হিসাব রক্ষক ছিলেন তিনি।
আর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ স্বপন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের রঘুনাথ গ্রামের শামছুল আলম মাস্টারের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানান, স্বপন প্রায় তিন বছর প্রবাসে ছিলেন। এ সময়ে তার আয়ের সম্পূর্ণ অর্থ স্ত্রী রুনির অ্যাকাউন্টে পাঠান। গত চার মাস আগে স্বপন বাড়িতে ফিরে আসলে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এরই জের ধরে স্বপন সোমবার সকালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চাইনিজ কুড়ালসহ রুনির কর্মস্থল ব্র্যাক অফিসে উপস্থিত হয়। এসময় ওই অফিসের অন্যান্য কর্মীরা মাঠে ছিলেন। অফিস ফাঁকা থাকার সুযোগে রুনির ওপর চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হামলা চালায় স্বপন। রুনির মৃত্যু নিশ্চিতভেবে স্বপন ওই অফিসেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক সহকর্মী অফিসে ফিরে ঘটনাটি দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে রুনিকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে পথিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, চৌধুরাণী বাজারে ব্র্যাকের শাখা অফিস থেকে স্বপন নামে একজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর রুনির লাশ রংপুর মেডিকেলে রয়েছে। মরদেহ দুটির ময়নাতদন্ত করা হবে।