আন্তঃনগর ট্রেন উদয়ন এক্সপ্রেসকে সাইট দিতে চট্টগ্রামের কন্ট্রোল রুম থেকে রাত ২টা ৪৩ মিনিটে বার্তা আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দভাগ স্টেশনের মাস্টারের কাছে। স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী সেই বার্তা পৌঁছে দেন সামনে থাকা আন্তঃনগর ট্রেন তূর্ণা নিশীথার লোকোমোটিভ মাস্টারকে। কিন্তু সেই সংকেত মানেননি তিনি। যার কারণে উদয়ন এক্সপ্রেসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তূর্ণা নিশীথার। এই সংঘর্ষে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ১৬ জন। আহত হয়েছে আরও অন্তত শতাধিক যাত্রী।
এই বিষয়ে মন্দভাগ স্টেশনের দায়িত্বে থাকা স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, আমি কন্ট্রোল রুম থেকে সংকেত পেয়ে তূর্ণার লোকো মাস্টারকে সংকেত দিয়েছি এক নম্বর লাইনে আসার জন্য। কিন্তু সে তা না মেনে ক্রসিং করতে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনার জন্য পুরোপুরিভাবে তূর্ণার লোকো মাস্টার দায়ী।
মঙ্গলবার ভোরে কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের সাথে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।