ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবাতে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের সঙ্গে তূর্ণা নিশীথার সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বায়েক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামসুজ্জামানের উপস্থিতিতে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, সকাল থেকেই উদ্ধার কাজ শুরু করেছিল উদ্ধার কর্মীরা। এক এক করে ১০টি মরদেহ উদ্ধার করে আনা হয় বায়েক উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে দুই জন, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। দুপুর থেকেই তাদের পরিবারের লোকজন মরদেহগুলো শনাক্ত করলে তাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর শুরু করা হয়। এসময় তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এই পর্যন্ত মোট ৭৪ জন আহত ব্যক্তি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আমরা তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোরে কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের সাথে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।