আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত দিলেন শিক্ষা অফিসার

লালমনিরহাট, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লালমনিরহাট | 2023-08-16 10:49:07

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার গোবদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯০ হাজার টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনএম শরীফুল ইসলাম খন্দকারকে লিগ্যাল নোটিশ দেন বিদ্যালয়ের সভাপতি। এই নিয়ে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমে সংবাদ প্রকাশ হলে টাকা ফেরত দেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার। 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সোনালী ব্যাংক আদিতমারী শাখায় বিদ্যালয়ের নিজস্ব হিসাব নম্বরে টাকা জমা দেন তার অফিসের অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর আলম।

এর আগে সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমে (বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ শিক্ষা অফিসারকে লিগ্যাল নোটিশ) সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

লিগ্যাল নোটিশে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোবদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লিপ প্রকল্পের ৫০ হাজার এবং রুটিন মেইনটেইন্যান্সে ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি কাজ সম্পন্ন করে ব্যয় ভাউচার জমা দেয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাতে। কিন্তু ওই কাজের ভাউচারে চেক বইয়ে সই নিয়ে ৯০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনএম শরীফুল ইসলাম খন্দকার।

আরও পড়ুন: বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষা অফিসারকে লিগ্যাল নোটিশ

বিষয়টি জানাজানি হলে গোবদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমানসহ শিক্ষকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। এতে ব্যর্থ হন তিনি।

মঙ্গলবার বিকেলে দুইটি চেক সোনালী ব্যাংক আদিতমারী শাখায় জমা করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর আলম।

অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর আলম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, গোবদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দীঘলটারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কয়সার উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুটিন মেইনটেন্যান্সে ও স্লিপ প্রকল্পের ভ্যাট কর্তন করে ১ লাখ ৯৯ হাজার একশত টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে।

আদিতমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনএম শরীফুল ইসলাম খন্দকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর