দেশের সর্বোত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মেঘমুক্ত আকাশে উঁকি দিচ্ছে হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘা চূড়া। ফলে প্রতিবছরের মতো এবারও দুর্লভ এ চিত্র দেখতে তেঁতুলিয়ায় ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা।
গতকয়েক দিন থেকে উঁকি দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘার নয়নাভিরাম নৈসর্গিক রূপ। ফলে নীলাকাশে তুষার শুভ্রের মতো ভেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে ছুটে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন জেলার মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাস পর্যন্ত শীতের আগমনী বার্তার পূর্বে আকাশে ভেসে ওঠে হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘা।
বুধবার (১৩নভেম্বর) সকালেও সূর্যোদয়ের সঙ্গে দেখা গেল, কাঞ্চনজঙ্ঘার নয়নাভিরাম নৈসর্গিক রূপ। যা সূর্যের তেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশী স্পষ্ট দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বেশ ভালোই দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা তারপর ক্রমান্বয়ে আবার ঝাপসা হয়ে হারিয়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। আবার বিকেলে সূর্যকিরণ যখন তির্যকভাবে বরফাচ্ছাদিত পাহাড়ে পড়ে তখন আবারো চোখে ধরা দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা ।
জানা যায়, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া-বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে নেপালের দূরত্ব ৬১ কিলোমিটার, ভূটানের দূরত্ব ৬৪ কিলোমিটার, চীনের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার, ভারতের দার্জিলিংয়ের দূরত্ব ৫৮ ও শিলিগুড়ির দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার। অন্যদিকে হিমালয়ের এভারেস্ট শৃঙ্গের দূরত্ব ৭৫ ও কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাসিন্দা জাহিরুল ইসলাম জানান,' প্রতিবছর কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে তেঁতুলিয়ায় বিভিন্ন জেলার মানুষের সমাগম ঘটে বিশেষ করে এই মৌসুমেই। সবাই খালি চোখে উপভোগ করেন কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য '।
বাংলাবান্ধা এলাকার অটোচালক আব্দুর রহিম জানান, প্রতিবছর কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে অনেক মানুষ আসে তারা চা বাগান, আনন্দ ধারা, রওশনপুর, জিরোপয়েন্ট দেখতে যায়। ফলে আমরা ভালোই ভাড়া পাই।
এ বিষয় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষণগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম’কে জানান, 'অক্টোবর-নভেম্বর মাসে আকাশ মেঘমুক্ত ও পরিষ্কার থাকার কারণে তেঁতুলিয়া থেকে স্পষ্ট ভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। এই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে প্রতিদিন ভিড় জামাচ্ছে হাজারো পর্যটক'।