ফেরি ঘাট নির্মাণ ও আধুনিকায়ন হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখো মানুষের রাজধানী ঢাকায় প্রবেশের অন্যতম দ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট। ফেরি ঘাট নির্মাণ, ঘাটের প্রতিরক্ষামূলক কাজসহ অনেক সুবিধা থাকছে প্রায় সাড়ে ১৩শ কোটি টাকার এই আধুনিকায়নের প্রকল্পে। দৌলতদিয়া ঘাটের আধুনিকায়নের বিষয়টি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা ঘাটের উপসহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম।
তাছাড়া বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দৌলতদিয়া ঘাটের আধুনিকায়ন করার বিষয়ের উপর জাতীয় সংসদ অধিবেশনেও বক্তব্য দেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। নারী আসনের সংসদ সদস্য নাজমা আক্তারের করা এক প্রশ্নের জবাবের উত্তরে তিনি এই কথা বলেন।
এ সময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দৌলতদিয়া ঘাটকে আধুনিকায়ন করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য 'ফেরি ঘাট নির্মাণ ও আধুনিকায়নসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রণয়নের কাজ চলছে। তাছাড়া বর্তমান সরকারের যে উন্নয়নের ধারা সেই ধারার প্রেক্ষিতেই দেশের বিভিন্ন এলাকার ফেরি ঘাটগুলো সরকারের উন্নয়নের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা ঘাটের উপসহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে তিন হাজার ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন নদী পাড়ি দেয়। বর্ষা মৌসুম এলেই ঘাট ভেঙে যায়। মারাত্মক ব্যাহত হয় ফেরি চলাচল। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী, চালক ও শ্রমিকরা।
বর্তমান সরকার দৌলতদিয়া ঘাট নির্মাণ ও আধুনিকায়নের জন্য প্রায় সাড়ে ১৩শ কোটি টাকার ‘ফেরি ঘাট নির্মাণ ও আধুনিকায়নসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের মধ্যে ৫০% কাজই হবে ঘাট প্রতিরক্ষামূলক কাজ। ঘাটকে ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য দৌলতদিয়া প্রান্তের ৬ কিলোমিটার ও পাটুরিয়া প্রান্তে দুই কিলোমিটার ভাঙ্গনরোধের কাজ হবে। এছাড়াও ঘাট আধুনিকায়নের জন্য আরও অনেক কাজ থাকবে এই প্রকল্পে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের শাখা ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘দৌলতদিয়া ঘাট নির্মাণ ও আধুনিকায়নের কাজটি সম্পন্ন হলে এই ঘাটি দিয়ে যারা নদী পার হয় তাদের আর তেমন একটা ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই তারা নির্বিঘ্নে নদী পার হতে পারবে।’