রংপুরের পীরগাছায় মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৬০ টাকা বেড়েছে। দুইদিন আগেও প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু সেই পেঁয়াজ এখন ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সরেজমিন এমন চিত্র দেখা গেছে।
গতকালও দেশি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ২০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। কিন্তু আজ দুপুর থেকে হঠাৎ করে কেজি প্রতি দাম বাড়ে ৬০ টাকা।
জানা গেছে, অনেক ব্যবসায়ী আরো দাম বৃদ্ধির আশায় পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বাজারগুলোতে পেঁয়াজের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলার কান্দির হাটের খুচরা ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, প্রতিদিন আমার তিনশ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ কেজি পেঁয়াজের চাহিদা কিন্ত আজ মোকাম থেকে মাত্র ৫০ কেজি পেঁয়াজ আনতে পেরেছি।
পাওটানা হাটের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, মোকামের ব্যবসায়ীরা চাহিদা মতো পেঁয়াজ দিচ্ছে না। প্রতিদিনের চাহিদার তুলনায় অর্ধেক পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারে ক্রেতাদের নিকট ২৬০ টাকার কমে পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ অব্যাহত থাকলে পেঁয়াজের দাম আরো বাড়বে।
এদিকে, হঠাৎ করে আবারো পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ বাজার মনিটরিং না করায় হু হু করে বাড়ছে দাম।
দেবী চৌধুরাণী হাটে বাজার করতে আসা মিজানুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম শুনে আঁতকে উঠি। এভাবে চলতে পারে না। অতিদ্রুত সরকারের একটা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
হাসিবুর রহমান নামের এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কেন বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে না বুঝি না। যেভাবে বাড়ছে তাতেতো দেখা যায় দাম ৩০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ অব্যাহত থাকলে পেঁয়াজের দাম আরো বাড়বে।