হবিগঞ্জে লবণের জন্য হাহাকার!

হবিগঞ্জ, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, হবিগঞ্জ | 2023-08-30 23:31:35

বেশ কয়েকদিন ধরেই সারাদেশে পেঁয়াজের দাম নিয়ে তুলকালাম চলছে। ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছাড়িয়েছে পেঁয়াজের দাম। কিন্তু এই পেঁয়াজের সংকট ও অতিরিক্ত দামের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার শুরু হয়েছে লবণের দাম বৃদ্ধির গুজব। আর এ গুজব জানতে পেরে লবণ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন হবিগঞ্জের ব্যবসায়ীরা।

সোমবার রাত ৮টার পর হবিগঞ্জের ব্যবসায়ীদের মধ্যে লবণের দাম বাড়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরপর লবণ বিক্রি বন্ধ করে দেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। ফলে জেলা শহরে লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়। ফলে শহরের কোথাও মিলছে না লবণ।

সোমবার রাত ৯টার পর জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সব দোকান থেকে ক্রেতাদের লবণ নেই বলে জানানো হচ্ছে। ফলে জেলাজুড়ে এখন লবনের জন্য এক রকম হাহাকার শুরু হয়েছে।

তবে ক্রেতাদের দাবি, বিকালে দোকানে বস্তা ভর্তি লবণ দেখা গেলেও রাত ৮টার পর সেখানে আর লবণ পাওয়া যায়নি। মূলত অধিক লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা লবণ বিক্রি বন্ধ করে দেন।

তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরেই পাইকারি বাজারে লবণের স্বল্পতা দেখা গেছে। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে পাইকারি বাজারে লবণ পাওয়া যায়নি। আর লবণের সংকট জানতে পেরে মানুষ বেশি বেশি লবণ কিনেছেন। ফলে লবণের সংকট শুরু হয়েছে।

শহরের সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা মো. হারুন চৌধুরী জানান, হবিগঞ্জ শহরের কোথাও লবণ পাননি তিনি। পেঁয়াজের পর এবার লবণ নিয়ে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করছেন। দোকানে লবণ থাকলেও ব্যবসায়ীরা লবণ বিক্রি করছেন না।

চৌধুরী বাজারের লবণ ক্রেতা রাখাল দাস জানান, একটু আগেও প্রতি দোকানে বস্তাবস্তা লবণ ছিল। কিন্তু এখন কোনো দোকানে লবণ পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভের আশায় মানুষকে জিম্মি করার চেষ্টা করছেন। এটা ঠিক হচ্ছে না।

তিনি আরো জানান, প্রশাসনের উচিত প্রতিটি দোকানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা। তাহলে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করতে পারবেন না।

এ ব্যপারে চৌধুরী বাজারের ব্যবসায়ী মো. রমজান আলী জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই পাইকারি বাজারে লবণ কম আসছিল। আজ সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে ক্রেতারা বেশি বেশি লবণ কেনা শুরু করেন। ফলে নিমেষেই সব লবণ শেষ হয়ে যায়।

একই এলাকার ব্যবসায়ী নারায়ন পাল জানান, লবণের সংকটের বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না। সন্ধ্যার পর হঠাৎ দোকানে লবণ বিক্রি বেড়ে যায়। তখনও বুঝতে পারিনি বিষয়টি কী? কিন্তু যখন দোকানের লবণ শেষ হয়ে গেছে তখন পাইকারের কাছে লবণের জন্য ফোন দিয়েও লবণ পাওয়া যায়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর