পদ্মা সেতুর ১৬তম স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো আড়াই কিলোমিটার সেতু। এর আগে ১৫টি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে ২ কিলোমিটারের অধিক দৃশ্যমান হয়েছিল। এ মাসে আরও ৩টি স্প্যান বসে গেলে সেতুর প্রায় অর্ধেক দৃশ্যমান হবে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টায় পদ্মা সেতুর ১৬তম স্প্যান ‘৩ডি’ বসানো হয়েছে।
পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, স্প্যানটি ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয়েছে। সেতুর ২৪শ’ মিটার বা প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো। এছাড়া এ মাসেই পদ্মা সেতুতে বসতে যাচ্ছে অন্তত আরও ২টি স্প্যান। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ‘৪ডি’ নম্বর স্প্যানটি ২২ ও ২৩ নম্বর খুঁটিতে বসানো হবে। এটির প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন। এ ছাড়া ২১ ও ২২ নম্বর পিলারের উপর আরও একটি স্প্যান এ মাসেই বসানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ২২ ও ২৩ নম্বর খুঁটির জন্য তৈরি করা ৪ডি স্প্যানটি ২৮ ও ২৯ নম্বর খুঁটির কাছে প্লাটফরম তৈরি করে নদীর তীরে রাখা আছে। নদীতে নাব্যতার কারণে স্প্যানটি সেখান থেকে তুলে এনে স্থাপনে বিলম্ব হচ্ছে। ওয়ার্কশপের ইয়ার্ডে ৬এ, ৬বি, ৫সি ও নম্বর স্প্যান বেশ কিছুদিন ধরে তৈরি আছে। উচ্চ ক্ষমতার ড্রেজারে রাত দিন ড্রেজিং করায় নাব্যতা সংকট এখন কমে এসেছে।
এদিকে ৪১টি স্প্যানের মধ্যে মাওয়ায় এসেছে ৩১টি স্প্যান। এরমধ্যে ১৬টি স্প্যান স্থাপন করা হলো। আর ৫টি রেডি এবং ৩ টি রঙ করা ছাড়া বাকি ৮টি স্প্যান ফিটিংয়ের কাজ চলছে।
গত ২২ অক্টোবর ১৫তম স্প্যানটি বসেছিল। ২৮ দিন পর আজ ১৯ নভেম্বর ১৬তম স্প্যানটি বসানো হলো। সেতুর ৪২টি খুঁটির মধ্যে ৩৩ খুঁটি সম্পন্ন হয়ে গেছে। বাকি ৯টি খুঁটির কাজও দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এখন শুধু পাইলের উপর ক্যাপিং করার কাজ রয়েছে।
সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টীল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এই সেতুর কাঠামো।