দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানীতে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। ফেরি পারাপারের জন্য ঘাট এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকা এখানকার নিত্য দিনের ঘটনা। তবে ফেরিঘাট এলাকার বর্তমান সময়ের চিত্র একেবারে উল্টো। ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহনের কোনো চাপ নেই।
পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি ঘাট পন্টুনে যানবাহনের অপেক্ষায় রয়েছে ফেরিগুলো। ঘাট এলাকায় আসা মাত্রই ফেরিতে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে যানবাহন চালকরা। নতুন আইন কার্যকরের ঘোষণায় যানবাহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে দূরপাল্লার বাস কমে গেছে। এ কারণে ফেরিঘাট এলাকার এমন পরিস্থিতি বলে দাবি ঘাট কর্তৃপক্ষের।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের উভয় এলাকায় অপেক্ষমাণ যানবাহনের কোনো সারি নেই বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান।
তিনি জানান, গত দুই দিন ধরে দূরপাল্লার বাস পারাপারের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটের প্রতি ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ৬ শতাধিক বাস পারাপার হতো। এখন সেখানে পারাপার হচ্ছে তিনশ’র মতো। যে কারণে ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ কোনো যানবাহন নেই।
পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে মোট ১৭টি ফেরি রয়েছে। তবে যানবাহনের চাপ কম থাকায় বড় কিছু ফেরি বসিয়ে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল কমে আসলেও মানিকগঞ্জ ও পাটুরিয়া থেকে ঢাকামুখী যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান।