মাদক-দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স: খাদ্যমন্ত্রী

নওগাঁ, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নওগাঁ | 2023-08-17 12:00:52

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বর্তমানে মাদক আমাদের বড় সমস্যা। মাদক পরিবার, সমাজ সর্বোপরি দেশকে ধ্বংস করছে। কাজেই দেশকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত নির্বাচনী ইশতেহারে মাদক প্রতিরোধের উপর জোর দিয়েছেন। বর্তমানে মাদক, দুর্নীতি,সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে নওগাঁ ব্যাটালিয়ন ১৬ বিজিবি’র প্যারেড গ্রাউন্ডে ১৪ বিজিবি ও ১৬ বিজিবি কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে আটককৃত মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের যুবকরা আগামী দিনের দেশনায়ক। তারাই আগামীতে বিভিন্নভাবে দেশের নেতৃত্ব দেবেন। কাজেই বাংলাদেশকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করে এই যুবশক্তিকে নির্মল এবং মেধাবী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী, কিশোর এবং যুবকরা মোবাইল ব্যবহার করে। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি মাধ্যমে প্রত্যেকে যদি প্রতিদিন আমরা মাদকের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিতে থাকি তাহলে আপনাতেই মাদকের বিরুদ্ধে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠবে। সামাজিক আন্দোলন ছাড়া এই ভয়াল ব্যাধি থেকে আমাদের নিস্তার নাই।

সীমান্ত রক্ষায় বিজিবি’র ভূমিকার প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, সীমান্তে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মত আমাদের উন্নত সুযোগ সুবিধা নাই। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত ও কষ্ট করে তাদের সীমান্ত রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাদের মধ্যে প্রবল দেশপ্রেম আছে বলেই এত প্রতিকূলতার মধ্যেও তারা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। নওগাঁ জেলার সীমান্ত বরাবর রাস্তা তৈরি এবং আলোকিত করে সীমান্তকে সুরক্ষিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজিবি রাজশাহী’র সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বিপিএমজি’র সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নওগাঁ ব্যাটালিয়ন ১৬ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম, নওগাঁ ব্যাটালিয়ন ১৪ বিজিবি পত্নীতলার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহিদ হাসান এবং নওগাঁ’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে নওগাঁস্থ ১৬ বিজিবি ও পত্নীতলাস্থ ১৪ বিজিবি কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে আটককৃত মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। এসব মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় ফেনসিডিল, ভারতীয় মদ, চোলাই মদ, ভারতীয় গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন, ট্যাপেট্টা ট্যাবলেট এবং নেশার ইনজেকশন। ধ্বংসকৃত মালামালের মূল্য ৭৭ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮শ ৫৫ টাকা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর