বরিশালে আয়কর মেলা থেকে ৮ কোটি ৯০ লাখ ৫৪ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী এ মেলায় রিটার্ন দাখিল করেছেন ২৪ হাজার ১০ জন কর দাতা। আর সেবা নিয়েছেন ৯৩ হাজার ৩১৬ জন এবং নতুন ইটিআইএন নিয়েছেন ৯৫৯ জন।
গত ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে বরিশাল কর অঞ্চলের আওতায় বিভাগের ৬টি জেলা সদর ও ৫টি উপজেলা সদরে আয়কর মেলা শুরু হয়। এর মধ্যে ঝালকাঠি, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী জেলায় চার দিন করে এবং কলাপাড়া, নলছিটি, স্বরুপকাঠী, লালমোহন উপজেলায় দুই দিন করে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। শেষ হয় বৃহস্পতিবার ( ২০ নভেম্বর ) রাত আটটায়।
এবারের মেলায় সবচেয়ে বেশি আয়কর আদায় করা হয়েছে বরিশাল জেলায়। সবচেয়ে কম হয়েছে গলাচিপা উপজেলায়। গতবছরের হিসেবে এ বছর সেবাগ্রহণকারী ও নতুন ই-টিআইএন গ্রহণকারীর সংখ্যা কমলেও, বেড়েছে রিটার্ন দাখিল ও কর আদায়ের পরিমাণ।
বৃহস্পতিবার ( ২১ নভেম্বর) বিকেলে বরিশাল কর অঞ্চলের উপ-কর কমিশনার (প্রশাসন) মো. আবুল কালাম আজাদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে এসব তথ্য জানান।
জানা গেছে, বরিশাল জেলায় সাত দিনব্যাপী আয়কর মেলায় ১৩ হাজার ৩৬০ জন করদাতা তাদের রির্টান দাখিল করায় ৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫২ হাজার ১২১ টাকার কর আদায় করা হয়। নতুন ই-টিআইএন নিয়েছেন ৪৮১ জন। আর মেলায় সেবা নিয়েছেন ৫৪ হাজার ৮১৮ জন।
ঝালকাঠী জেলায় চার দিনব্যাপী মেলায় ৯৭৯ করদাতা তাদের রির্টান দাখিল করায় ২৫ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৯ টাকার কর আদায় করা হয়। নতুন ই-টিআইএন নিয়েছেন ৪৪ জন আর মেলায় সেবা নিয়েছেন ৩ হাজার ২১৪ জন।
নলছিটি উপজেলায় (ঝালকাঠী জেলা) দুই দিনব্যাপী মেলায় ৪০৭ জন করদাতা তাদের রির্টান দাখিল করায় ৮ লাখ ৭১ হাজার ৫৩৫ টাকার কর আদায় করা হয়। নতুন ই-টিআইএন নিয়েছেন ১৮ জন আর মেলায় সেবা নিয়েছেন ৩ হাজার ৩৮২ জন।
পিরোজপুর জেলায় চার দিনের মেলায় ২ হাজার ৩৪১ জন করদাতা তাদের রির্টান দাখিল করায় ৫৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৪ টাকার কর আদায় করা হয়। নতুন ই-টিআইএন নিয়েছেন ৯৯ জন আর মেলায় সেবা নিয়েছেন ৮ হাজার ৮০১ জন।
স্বরুপকাঠী উপজেলা ( পিরোজপুর জেলা) দুই দিনব্যাপী মেলা শেষে ৭২৪ জন করদাতা তাদের রির্টান দাখিল করায় ১১ লাখ ৬২ হাজার ৭৪৫ টাকার কর আদায় করা হয়। নতুন ই-টিআইএন নিয়েছেন ৩৮ জন। আর সেবা নিয়েছেন ৮৪০ জন।
ভোলা জেলায় চার দিনব্যাপী মেলা শেষে ১ হাজার ৯০২ জন করদাতা তাদের রির্টান দাখিল করায় ৫৯ লাখ ৪৭ হাজার ৮০২ টাকার কর আদায় করা হয়। নতুন ই-টিআইএন নিয়েছেন ৮৬ জন আর মেলায় সেবা নিয়েছেন ১০ হাজার ৩৯০ জন।
লালমোহন উপজেলায় (ভোলা জেলা) দুই দিনের মেলায় ৩৯৬ জন করদাতা তাদের রির্টান দাখিল করায় ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ২০৫ টাকার কর আদায় করা হয়। নতুন ই-টিআইএন নিয়েছেন ৪ জন আর মেলায় সেবা নিয়েছেন ৭৯৩ জন।
পটুয়াখালী জেলায় চার দিনব্যাপী মেলা শেষে ১ হাজার ৬৮৪ জন করদাতা তাদের রির্টান দাখিল করায় ৩১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৮৯ টাকার কর আদায় করা হয়। নতুন ই-টিআইএন নিয়েছেন ৫৭ জন আর মেলায় সেবা নিয়েছেন ২ হাজার ৪০২ জন।
গলাচিপা উপজেলায় (পটুয়াখালী জেলা) দুই দিনব্যাপী মেলা শেষে ২৯৮ জন করদাতা তাদের রির্টান দাখিল করায় ৭ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৬ টাকার কর আদায় করা হয়। নতুন ই-টিআইএন নিয়েছেন ১৮ জন আর মেলায় সেবা নিয়েছেন ২ হাজার ১৩৯ জন।
কলাপাড়া উপজেলায় (পটুয়াখালী) দুই দিনের মেলায় জন ২৪৫ জন করদাতা তাদের রির্টান দাখিল করায় ১৮ লাখ ৫০ হাজার ২২০ টাকার কর আদায় করা হয়। নতুন ই-টিআইএন নিয়েছেন ২০ জন আর মেলায় সেবা নিয়েছেন ১ হাজার ৭৯০ জন।
বরগুনা জেলায় চার দিনব্যাপী মেলায় ১ হাজার ৬৭৪ জন করদাতা তাদের রির্টান দাখিল করায় ৭৮ লাখ ২৮ হাজার ৭৩৮ টাকার কর আদায় করা হয়। নতুন ই-টিআইএন নিয়েছেন ৯৪ জন আর সেবা নিয়েছেন ৬ হাজার ৭৪৭ জন।
উল্লেখ্য, বরিশালে ২০১৮ সালে আয়কর মেলায় ১৮ হাজার ৩৬১ জন করদাতা তাদের রির্টান দাখিল করায় ৮ কোটি ৩২ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮৭ টাকার কর আদায় করা হয়েছিল। নতুন ই-টিআইএন নিয়ে ছিলেন ১ হাজার ১৬৬ জন। আর মেলায় সেবা নিয়েছিলেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮২৮ জন।