টাঙ্গাইলে পঞ্চম দিনেও চলছে না বাস। জেলার বাসস্ট্যান্ডগুলো থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। একই চিত্র উপজেলাগুলোতেও। তবে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে মহাসড়কে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলতে দেখা গেছে।
বাসস্ট্যান্ডগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব কটি কাউন্টার বন্ধ। দু-একটি খোলা থাকলেও টিকিট বিক্রি হয়নি। কয়েকজন যাত্রী বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে বাস ছাড়ার খবর নিচ্ছিলেন।
সড়কে বাস না চলায় দূরের যাত্রীরা পড়েন চরম বিপাকে।
বেসরকারি চাকরিজীবী আবদুল আহাদ বলেন, আব্বার অপারেশন হবে তাই আজকে আমাকে ঢাকায় যেতেই হবে। কিন্তু কোনো গাড়ি ছাড়ছে না। ভেবেছিলাম ট্রেনে যাবো। কিন্তু ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড়। আমার শরীরটাও খুব একটা ভালো না। তানাহলে ঠেলাঠেলি করে হলেও যেতাম। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। বিপদেই পড়ে গেলাম।
টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্ত রঞ্জন বলেন, আজ ঢাকায় ফেডারেশনের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। দুপুর নাগাদ বৈঠকে সিদ্ধান্ত জানা যাবে। তারপরেই পরিবহন চলাচলের সিদ্ধান্ত হবে।
এদিকে, বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। এ কারণে যাত্রীসংখ্যাও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। তবে সিট না পেয়ে অনেকে দাঁড়িয়ে যান ট্রেনে।