নাটোর শহরজুড়ে ভাই-কাউয়া-হাইব্রিডমুক্ত আওয়ামী লীগ চেয়ে পোস্টারিং করেছে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক আরজু শেখ। পোস্টারে হাইব্রিড ও কাউয়া লীগ থেকে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে বাঁচাতে ত্যাগী আওয়ামী লীগ কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঠিক মূল্যায়নের জন্য দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
হঠাৎ করে তার এমন পোস্টারিংয়ে বিস্মিত জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। তাদের দাবি একটি বিশেষ গোষ্ঠীর ইন্ধনে ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এমন পোস্টার ছাপিয়ে দলে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
হঠাৎ এমন পোস্টারিংয়ের ব্যাপারে কাউন্সিলর আরজু শেখ জানান, আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিডদের ঠেকাতে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ছিল। দেশে চলমান শুদ্ধি অভিযানের পর দলের অবহেলিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীরাও এ দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্বদিচ্ছা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন নেই। বর্তমানে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনে ভাই লীগ, হাইব্রিড এবং কাউয়া লীগের ছড়াছড়ি। এরা দলীয় পদ-পদবী বাগিয়ে নাটোর জেলা দাপাচ্ছে। রাজপথের ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ নেতা-কর্মীরা আজ দূরে সরে যাচ্ছে । আমি পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে তৃণমূলের প্রাণের দাবিই তুলে ধরেছি।
এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিপ্লব বলেন, কাউন্সিলর আরজু শেখ যুবলীগের কমিটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও তিনি রাজনীতিতে স্বেচ্ছায় নিস্ক্রিয়। তার মুখে নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের কথা মানায় না। তিনি ব্যক্তি পর্যায়ের বিরোধের জের রাজনীতিতে আনছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, কাউন্সিলর আরজু শেখ নিজেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে যুবলীগেও তিনি সক্রিয় নন। তিনি সম্ভবত মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত বা ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে পোস্টারিং করেছেন। কোন অভিযোগ থাকলে তিনি দলীয় ফোরামে আলোচনা করতে পারতেন। হঠাৎ করে ঐক্যের ডাক দিয়ে তিনি কি বোঝাতে চান, তা বোধগম্য নয়। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগ পূর্বের যে কোনো সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ।