চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ৮৯ হাজার ১৯৫ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৬ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে এই গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে নওগাঁ জেলা কৃষি বিভাগ। জেলার ১১টি উপজেলায় বিশেষ করে বরেন্দ্র অধ্যুষিত উপজেলাগুলোতে কৃষকদের গম চাষে বেশি উৎসাহিত করা হচ্ছে।
কারণ হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নওগাঁ জেলার বরেন্দ্র অধ্যুষিত উপজেলাগুলোতে পানি সেচ সংকট রয়েছে। পানি সেচের প্রয়োজনীয়তা কম হওয়ায় এসব অঞ্চলে গম চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসেব অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলার ১১টি উপজেলায় গম চাষের ধার্যকৃত জমির লক্ষ্যমাত্রা- নওগাঁ সদর উপজেলায় ৭৯০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ৭৬৫ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ৩৭০ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ৮০০ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ৪৫৫ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ১ হাজার ৯২০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ১ হাজার ৭০০ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ৮ হাজার ৩৩৫ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ২ হাজার ৬৯০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর।
লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা জমিতে মোট ৮৯ হাজার ১৯৫ মেট্রিক টন গম উৎপাদিত হবে বলে কৃষি বিভাগের প্রত্যাশা। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২ হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন, রানীনগর উপজেলায় ২ হাজার ৫৬৫ মেট্রিক টন, আত্রাই উপজেলায় ১ হাজার ২৪০ মেট্রিক টন, বদলগাছি উপজেলায় ২ হাজার ৬৮০ মেট্রিক টন, মহাদেবপুর উপজেলায় ১ হাজার ৫২৫ মেট্রিক টন, পত্নীতলা উপজেলায় ৬ হাজার ৪৩০ মেট্রিক টন, ধামইরহাট উপজেলায় ৫ হাজার ৬৯৫ মেট্রিক টন, সাপাহার উপজেলায় ২৭ হাজার ৯২৫ মেট্রিক টন, পোরশা উপজেলায় ১৫ হাজার ৭৫ মেট্রিক টন, মান্দা উপজেলায় ৯ হাজার ১০ মেট্রিক টন এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ১৪ হাজার ৪০৫ মেট্রিক টন গম উৎপাদিত হবে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।