চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীর্ষ জেএমবি নেতা সালমান হত্যা মামলায় তিন জনের ফাঁসি ও ৪ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো.শওকত আলী এই রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হল- নাচোল উপজেলার চানপাড়া গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে মো.সানোয়ার হোসেন (৩৭), গোমস্তাপুর উপজেলার বালুগ্রাম রাজারামপুর গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুসের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৯) ও একই এলাকার বালুগ্রাম দক্ষিণটোলা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস শুকুর ওরফে শুকুর (৩৯)।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হল- গোমস্তাপুর উপজেলার বোগলা গোপালনগর গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মো.শামসুল হক (৩৩), নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার শিবনগর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে আবদুল মোতাকব্বির ওরফে সনি (৩৩), গোমস্তাপুর উপজেলার চকপুস্তম গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৯) ও একই এলাকার নিমতলা ঘন্টুটোলা গ্রামের মো.মাহতাবের ছেলে মো. শামীম (৩৫)।
অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী আঞ্জুমানারা জানান, ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল গভীর রাতে জেএমবির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে তাদের শীর্ষ নেতা ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার আজগর আলীর ছেলে মো.রুহুল আমিন ওরফে সালমানকে হত্যা করে তার মস্তকবিহীন মরদেহ নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের জনৈক ইসরাইল চেয়ারম্যানের আম বাগানে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এ ঘটনায় ৩ জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করে এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মস্তকটি মহানন্দা নদীর তীর সংলগ্ন ধাইনগর ঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নাচোল থানায় এসআই আনিসুর রহমান বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গৌতম চন্দ্র মালি ২০১৫ সালের ২৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণাদি শেষে সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো.শওকত আলী তাদের দোষী সাব্যস্ত করে উপরোক্ত রায়ে দণ্ডিত করেন। তবে এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি মো.সানোয়ার হোসেন পলাতক রয়েছে।