সময়ের প্রয়োজনে বাংলার গ্রামীণ খেলার বেশির ভাগই আজ বিলুপ্তির পথে। ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলার মধ্যে অন্যতম হলো- কুত কুত, গোল্লাছুট, হা-ডু-ডু, দাড়িয়াবান্ধা, জুতা চুরি, দড়ি খেলা, চেংগুপেন্টি ও মার্বেল খেলা। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কুড়িগ্রাম থেকেও হারিয়ে যাচ্ছে এসব গ্রামীণ খেলা। একই সঙ্গে জনপ্রিয় হচ্ছে আধুনিক বা প্রযুক্তি নির্ভর খেলাধুলা।
জানা গেছে, এক সময় গ্রামীণ খেলা দেখতে গ্রামের বিভিন্ন মাঠে মানুষের ঢল নামতো। কিন্তু এখন গ্রামের খোলা মাঠে এসব খেলা শুধুই স্মৃতি। একসময় কুড়িগ্রামের অধিকাংশ গ্রামের ছেলে-মেয়েরা গ্রামীণ খেলাকে প্রধান খেলা হিসেবে জানতো। কিন্তু বর্তমানে অনেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও মোবাইলে বিভিন্ন প্রকার গেমে আসক্ত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরযাত্রাপুর মোল্লা পাড়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকজন শিশু মিলে ব্যাডমিন্টন খেলছে।
ব্যাডমিন্টন খেলতে আসা আমিনুল ইসলাম, জাহিদ হাসান ও শফিকুল জানান, তারা সাধারণত দিনের বেলা খেলা করে। এলাকার খেলার মাঠ নেই। গ্রামের ছোট-বড় কয়েকজন মিলে সেখানে ব্যাডমিন্টন খেলে। তবে আবাদি জমির ফসল কাটার পর তারা জমিতে খেলাধুলা করার সুযোগ পাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা খয়বর ব্যাপারী (৬৫) ও হাসু মণ্ডল (৫৫) জানান, তারা আগে যেসব খেলা খেলতেন সেসব খেলা আজ বিলুপ্তির পথে। বর্তমান যুগের ছেলে-মেয়েরা ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা করে না।
কান্ট্রি গেমস অ্যাসোসিয়েশনের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার চেয়ারম্যান শ্যামল ভৌমিক বলেন, ‘আমদের শৈশবের সব খেলা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে বর্তমান প্রজন্মের কাছে গ্রামীণ খেলা জনপ্রিয় করতে কাজ শুরু হয়েছে।’