চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারগুলোতে হঠাৎ করেই পেঁয়াজ শূন্য হয়ে পড়েছে। খুচরা কিংবা পাইকারি বাজার কোথাও মিলছে না পেঁয়াজ। দাম নিয়ে প্রশাসনের ভয়ে আড়তদারেরা পেঁয়াজ আনছে না। অন্যদিকে আড়তদারের কাছ থেকে পেঁয়াজ নিয়ে খুচরা বিক্রেতারাও বিক্রি করছেন না।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে বাজারে ক্রেতা সমাগম থাকলেও সংকটের কারণে টাকা দিয়েও পেঁয়াজ কিনতে পারেননি অনেক ক্রেতা।
আড়তদাররা বলছেন, প্রশাসনের কড়া নজরদারির কারণে পেঁয়াজ আমদানি করা যাচ্ছে না। বাজারে স্বল্প কিছু পেঁয়াজ থাকলেও তা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
আড়তদাররা বলেন প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৭০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত বাজারে এসে ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রির নির্দেশ দিচ্ছেন। এ কারণে বাধ্য হয়েই পেঁয়াজের আমদানি কিংবা বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পেঁয়াজের এমন সংকটে দিশেহারা ভোক্তারা।
বিক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে পেঁয়াজ একেবারেই কম। কেনা দামই পড়ছে কেজি প্রতি ১৭০ টাকা। সেখানে ১৪০ টাকায় বিক্রি করতে বলছে প্রশাসন। তাই ভয়ে কেউ পেঁয়াজ বিক্রি করছেন না। সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুরাতন বাজারে গিয়ে আড়তগুলো বন্ধ দেখা গেছে।
পুরাতন বাজারের এক আড়তদার জানান, খুব ভোর থেকেই বাজারের খুচরা বিক্রেতারা তার আড়তে ভিড় করেন। ২০০ টাকা কেজি দরেও পেঁয়াজ কিনতে চায় ক্রেতারা। তাদের ১৭০ টাকা কেজি কিনে এনে প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করা সম্ভব নয়। এ জন্যই তিনি আড়ত বন্ধ রেখেছেন। বাজারের পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত তিনি আড়ত বন্ধ রাখবেন বলে জানান।
এদিকে ভোক্তা অধিকার ও পুলিশের তৎপরতা দেখে অনেক খুচরা বিক্রেতা পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়া বাজারে আর কোনো পেঁয়াজ না থাকায় বিক্রিও বন্ধ হয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খুচরা বিক্রেতা বলেন, প্রশাসনের চাপাচাপির কারণে কেউ ঝুঁকি নিচ্ছে না। পেঁয়াজ ১৮০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছিল। পেঁয়াজ আমদানিও নাই। রোববার সকালে যেটুকু পেঁয়াজ পেয়েছিলেন সেটার দাম ১৭০ টাকা। বেশি দামে বিক্রি করলে প্রশাসন জরিমানা করতে পারে এজন্য পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। বরং পেঁয়াজ বাদ দিয়ে অন্য পণ্য বিক্রি করা ভালো।