বিভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী ৭০ নেতাকে চিহ্নিত করেছে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা। অনুপ্রবেশকারীরা আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার পর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদও পেয়েছেন।
জানা যায়, এর আগে তারা বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি ও ফ্রিডম পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আল বদর ও শান্তি কমিটির সঙ্গে জড়িত থাকা পরিবারের একজন সদস্য বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। আর এসব অনুপ্রবেশকারী নেতাদের দাপটে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের অনেক ত্যাগী নেতা।
আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নেতা বার্তা২৪.কমকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের কেউ কেউ নিজেদের স্বার্থে ক্যাডার হিসেবে ব্যবহার করতে বিএনপি-জামায়াত থেকে এদেরকে দলে ভেড়ায়। পরে তাদের মাধ্যমেই এরা আওয়ামী লীগের পদ বাগিয়ে নেয়। দলীয় পদ পাওয়ার পর এদের নেতৃত্বেই চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে সব ধরনের অপকর্ম।
বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী বিগত সময়ে চালুয়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে নৌকা মার্কার বিপক্ষে কাজ করেছেন। তিনি এখন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ বিষয়ে বার্তা২৪.কমকে শওকত আলী বলেন, আমি আওয়ামী লীগে নতুন যোগ দিয়েছি। তবে বিএনপির মিটিং মিছিল কোনদিন করিনি।
অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে জেলার কোন নেতাই মুখ খুলতে চান না। তারা বলছেন আগামী ৭ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এ কারণে কোন মন্তব্য নেই কারো।
সরকারের গোপনীয় ওই সংস্থার অনুসন্ধানে জেলার ১২ উপজেলায় চিহ্নিত হয়েছেন ৭০ জন নেতা। যারা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে রয়েছে।