ঝিনাইদহের শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালেও কর্মবিরতি পালন করছে বেশিরভাগ শিক্ষক। আর শিক্ষক সংকটের কারণে পরীক্ষা নিচ্ছেন ল্যাব সহকারীও।
পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে স্কুলটিতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এদিন নির্দিষ্ট সময়ের কয়েক মিটির পর শুরু হয় পরীক্ষা।
১১টি কক্ষে সাড়ে ৭০০ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করছেন ১০ জন শিক্ষক ও একজন ল্যাব সহকারী।
কর্মবিরতি পালন করা স্কুলটির সরকারী শিক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক কর্তৃক নারী নির্যাতন মামলা ও মারধর করার বিচার এবং তার অপসারণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।
শৈলকুপা পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক স্বপন বাগচি বলেন, শিক্ষকদের দ্বন্দ্বের জের ধরে বহু পুরাতন স্কুলটি আজ ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই সমস্যা সমাধান খুবই জরুরি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ বলেন, বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন সাধারণ শিক্ষকদের কর্মবিরতি দুঃখজনক। সমস্যাটি শুধুমাত্র পরিচালনা পরিষদই সমাধান করতে পারে।
প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার বেশিরভাগ শিক্ষকের কর্মবিরতির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সাময়িক সমস্যা হলেও বাকি শিক্ষকদের নিয়ে পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। যে বিষয়টি নিয়ে কর্মবিরতি চলছে, সেটি সমাধান করবে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদ।