সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভটি সংরক্ষণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ধসে পড়া রানা প্লাজার পরিত্যক্ত জায়গায় নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভটির সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, সারাদেশের ৪৬টি জেলায় অভিযানের অংশ হিসেবে সাভারে সওজের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে সামনে রেখে সড়কের দু'পাশে সৌন্দর্যবর্ধনের অংশ হিসেবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আর রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্তম্ভটি সড়ক ও জনপথের স্থানে নির্মিত হওয়ায় এটিও উচ্ছেদের শঙ্কা রয়েছে।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, স্মৃতিস্তম্ভটি যেকোনো মূল্যে সংরক্ষণ করতে হবে। এটি সংরক্ষণ না করা হলে রানা প্লাজা ধসে নিহত ১ হাজার ১৩৬ জন শ্রমিকের আত্মা কষ্ট পাবে। সেই সাথে ৫০ লক্ষ শ্রমিকের স্মৃতিস্তম্ভ উচ্ছেদ করা হবে। এই স্মৃতিস্তম্ভটি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় রানা প্লাজার পরিত্যক্ত জায়গায় স্থায়ীভাবে স্থাপনের জোর দাবি জানান শ্রমিক নেতারা। এটি উচ্ছেদ করতে হলে শ্রমিক সংগঠনের সাথে আলোচনা করে রানা প্লাজার স্থানে প্রতিস্থাপন করতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফন্ট, বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের নেতা কর্মীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিলে বিশ্বের পোশাক খাতে বড় একটি শিল্প দুর্ঘটনা হলো রানা প্লাজা ধস। সেই ট্র্যাজেডিতে রানা প্লাজার ১ হাজার ১৩৬ জন পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দুই সহস্রাধিক শ্রমিককে। ঘটনার ৬ মাস পর ১০ আগস্ট রানা প্লাজার সামনে ল্যাম্প পোষ্ট ও আরো ৭ সংগঠন মিলে এই অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে।