পেঁয়াজের দাম আকাশ চুম্বী হওয়ায় কুড়িগ্রামের কৃষকরা ক্ষেত থেকে আগাম জাতের পাতা পেঁয়াজ তুলে বাজারে বিক্রি করছেন। এতে কিছুটা কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। তবে বর্তমান বাজারে নতুন পাতা পেঁয়াজের দাম বেশি পেলেও ভরা মৌসুমে পেঁয়াজের দাম না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের অনেক কৃষক ভালো দামের আশায় তড়িঘড়ি করে আগাম জাতের পাতা পেঁয়াজের চাষ করেন। ৪০-৪৫ দিন পরিচর্যার পর এসব পেঁয়াজ ইতোমধ্যে বাজারে তুলতে শুরু করেছেন তারা, যা দুই হাজার ৫০০-৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাষিরা জানিয়েছে, আগাম পাতা পেঁয়াজ বিক্রির পর একই জমিতে আবারও পেঁয়াজ রোপণ করবেন তারা। সেজন্য ইতোমধ্যে পেঁয়াজের চারাও তৈরি করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের খালিশা কালোয়া গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আজিজুল জানান, তিনি ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩০ শতক জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। ভালো দাম পাওয়ায় তিনি আগাম পাতা পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছেন। তিনি আশা করছেন এ বছর এক লাখ ৪০ হাজার টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন।
তিনি আরো জানান, এখন আগাম পেঁয়াজ পাতার ভালো দাম পাওয়া গেলেও ভরা মৌসুমে দাম পাওয়া যাবে না।
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় ভোক্তারা অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের পাতা পেঁয়াজের দিকে ঝুঁকছেন।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'চলতি মৌসুমে জেলায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরবর্তীতে হিসাবের বাইরে অনেকে পেঁয়াজ চাষ করেছেন।'