উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং পাল্টাপাল্টি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পৃথক স্থানে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষই ব্যাপক আয়োজন করে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তোরণ নির্মাণ করা হয়।
এক পক্ষ দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনের সামনে আদালত ভবনের মাঠে এবং অপর পক্ষ বাউফল পৌর শহরের লিচুতলার মাঠে সম্মেলনের আয়োজন করে।
দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই উপজেলা সদরে বিপুল পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আদালত ভবনের মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আ.স.ম ফিরোজ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়া। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
এ সম্মেলনে সংসদ সদস্য আ.স.ম ফিরোজকে সভাপতি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়। আর আ.স.ম ফিরোজ ১৯৮০ সাল থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
অপর পক্ষের সম্মেলন পৌর শহরের লিচুতলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মো. জসিম উদ্দিন ফরাজী।
এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র মো. জিয়াউল হকের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি থাকেননি।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাউফল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ফরাজীকে সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৩ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ প্রায় সাত বছর ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম ফিরোজ। অপর পক্ষে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র মো. জিয়াউল হক। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষই দীর্ঘদিন ধরে আলাদাভাবে দলীয় ও জাতীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।