বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বই বিতরণ করা শুরু হয়েছে। বিগত বছর গুলোতে বছরের শেষের দিকেও বই পাওয়া নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শঙ্কা থাকলেও এবার আগে ভাগেই শতভাগ বই পৌঁছে যাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বইগুলো বিতরণ করা হচ্ছে।
ফলে ১ জানুয়ারি সারা দেশের মত পটুয়াখালী জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও বই উৎসবের মাধ্যমে ৪০ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৯টি বই বিতরণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পটুয়াখালী জেলায় স্কুল এবং কলেজে পর্যায়ে ১ লাখ ৬৩ হাজার ১০৫ জন, মাদ্রসা পর্যায়ে ৯১ হাজার ৩৩০ জন এবং ভোকেশনাল পর্যায়ে ৮ হাজার ৩৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করার জন্য একমাস আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে পৌঁছে যাচ্ছে নতুন বই। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কারিগরী শিক্ষা বিভাগে মোট ২ লাখ ৬২ হাজার ৭৬৫ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩১ লাখ ৩২ হাজার ২৪২ টি বই বিতরণ করা হবে।
এ ছাড়া জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই লাখ দুই হাজার একজন শিক্ষার্থীর জন্য ৯ লাখ ৩২ হাজার ৫৮৩ টি বই বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ইতিমধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী শতভাগ বই পৌঁছে গেছে।
পটুয়াখালী সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হচ্ছে বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া।এ লক্ষ্যে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ইতিমধ্যে আমাদের চাহিদা অনুযায়ী এসে পৌঁছেছে । এ বছর পটুয়াখালী সদর উপজেলায় চাহিদা ছিল এক লাখ ৬৫ হাজার ৩৯১ টি।
ইতিমধ্যে আমরা বিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী বই পৌঁছে দিচ্ছি। আশা করছি আগামী ১ জানুয়ারি সারাদেশের মতো পটুয়াখালীতে ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বই উৎসব পালন করতে পারব।
১ জানুয়ারি যাতে নির্বিঘ্নে এসব বই ছাত্র ছাত্রীদের হাতে বিতরণ করা যায় এ জন্য নভেম্বরের শুরু থেকেই উপজেলা শিক্ষা অফিসগুলো বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে। বিদ্যায়লের শিক্ষকরা নতুন বই বিতরণের জন্য বেশি সময় পাচ্ছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ কার্যক্রম সহজ হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ছাইয়াদুজ্জামান জানান পটুয়াখালী জেলায় ২০২০ সালের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন বইয়ের যে চাহিদা দেয়া হয়েছিল তা শতভাগ বই ইতিমধ্যে স স উপজেলায় পৌঁছে গেছে।
আগেভাগেই বিদ্যালয়গুলোতে বই পৌঁছে যাওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের জন্য বই প্রস্তুত করা এবং সারা বছরের পাঠ পরিকল্পনা প্রস্তুত করা সম্ভব হবে বলেও মনের করেন শিক্ষা বিভাগ সংশ্লিষ্টরা।