আয়কর না বাড়ালে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার ভিশন বিলম্বিত হবে বলে জানিয়েছেন রংপুর কর অঞ্চলের কমিশনার মো. আবদুল লতিফ।
তিনি বলেন, সরকারের রাজস্ব খাত সমৃদ্ধ করতে সকলকে কর প্রদানের ব্যাপারে সচেতন করা হচ্ছে। আয়কর দেয়া আমাদের নাগরিক ও সাংবিধানিক দায়িত্বের একটি অংশ। বছরে নূন্যতম আড়াই লাখ টাকার উর্ধ্বে আয় হলে নিয়মানুযায়ী কর দিতে হয়। কিন্তু আমরা আয়কর দেই না। এ অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কেননা আয়কর না বাড়ালে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার ভিশন বিলম্বিত হবে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে কর অঞ্চল রংপুর আয়োজিত আয়কর দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল লতিফ বলেন, করযোগ্য সবাই যদি আয়কর দিত তবে দেশ আরও আগে উন্নত হত। নিবন্ধিত করদাতাদের সবাই নিয়মিত আয়কর দেন না। দেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষের আয়কর দেয়ার সামর্থ্য রয়েছে। অথচ আয়কর দেন মাত্র ২২ লাখ মানুষ। আয়কর নিয়ে অবহেলা ও অসচেতনতা দূর হলে দেশ রাজস্ব খাতে আরও সমৃদ্ধ হবে। আমাদের উন্নয়নও তরান্বিত হবে।
কর কমিশনার আবদুল লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর দফতর ও প্রশাসন) মহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) মারুফ আহম্মেদ, রংপুর কর অঞ্চলের অতিরিক্ত কর কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপ-কর কমিশনার সুমন কুমার বর্মণ।
এরআগে সকালে ‘‘সমৃদ্ধ সোনালি দিন, আনতে হলে আয়কর দিন’’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রংপুর কর অঞ্চলের কার্যালয় চত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে আয়কর দিবসের শোভাযাত্রার উদ্বোধন করা হয়।
পরে সেখান থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি বের হয়ে রংপুর মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা থেকে আয়কর প্রদানে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিলি করা হয়।
শোভাযাত্রা শেষে কর অঞ্চলের কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা আয়কর প্রদানের ব্যাপারে জনসচেতনা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে অতিথিরা বলেন, সমৃদ্ধ দেশ গড়তে যথাযথ আয়কর দিতে হবে।
এসময় রংপুর কর অঞ্চলের কর্মকর্তারা ছাড়াও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার করদাতারা উপস্থিত ছিলেন।