কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে একটি গ্রুপকে প্রবেশ করতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। এতে অন্তত ১০জন আহত হয়।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে রাজারহাট উপজেলা শহরের সোনালী ব্যাংক চত্বরের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সম্মেলনে ঢুকতে না পারা গ্রুপটি বাইরে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে নেতা কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
পুলিশ ও দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুটি গ্রুপ প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন করে। শনিবার সকালে রাজারহাট কারিগরি বাণিজ্যিক কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুনুর মো. আক্তারুজ্জামানের গ্রুপ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে কুড়িগ্রাম আওয়ামী লীগের জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে রাজারহাট উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী ও উপজেলা সভাপতি আব্দুস ছালাম চাষী কর্মীদের নিয়ে সম্মেলনে অংশ নিতে গেলে সংঘর্ষের আশঙ্কায় তাদেরকে প্রবেশে বাধা দেয় পুলিশ।
পরে চাষী আব্দুস ছালাম ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী গ্রুপের নেতা কর্মীরা উপজেলা শহরে সোনালী ব্যাংক চত্বরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের আগে কারিগরি বাণিজ্যিক কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মো. শাহের আলীকে সভাপতি ও আবু নুর মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে কমিটি গঠন করা হয়।
অন্যদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির গ্রুপ বিকেলে উপজেলা শহরের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনের মাধ্যমে পাল্টা কমিটি গঠন করতে গেলে সেখানে গিয়ে নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে সম্মেলন পণ্ড করে দেয় পুলিশ।