১৫ দফা দাবিতে তিন বিভাগে জ্বালানি তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন বন্ধ রয়েছে। ফলে ফিলিং স্টেশন গুলো থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে। আর এ কারণে পেট্রোল ও ডিজেল চালিত যানবাহনের চালকরা পড়েছেন বিপাকে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টা থেকে পুর্ব ঘোষিত এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ধর্মঘটের কারণে বগুড়া জেলার ৭৪টি পেট্রোলপাম্প বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ গত ২৬ নভেম্বর(মঙ্গলবার) এই ধর্মঘট আহবান করেন।
জ্বালানি তেল বিক্রয়ের প্রচলিত কমিশন শতকরা সাড়ে ৭ ভাগ, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তা সুনির্দিষ্ট করা, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন করা, ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে এই ধর্মঘট আহবান করা হয়।
ধর্মঘটের কারণে পেট্রোল ও ডিজেল চালিত যানবাহনগুলো জ্বালানি না পেয়ে পেট্রোল পাম্প থেকে ফিরে যাচ্ছে। যে সকল যানবাহন শনিবার রাতে জ্বালানি সংগ্রহ করেছিলেন তারাই চলাচল করতে পারছে। জ্বালানি তেল না পাওয়ার কারণে অনেক যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি মিজানুর রহমান রতন জানান, বিগত দিনে সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণে ১৫ দফা দাবি জানানো হয়। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এসব দাবি পূরণের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। কিন্তু দাবি দফা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার আলোচনা না করায় ধর্মঘট শুরু হয়েছে।