পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সোমবার (২ ডিসেম্বর)। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতা কর্মীদের মধ্যে এখন উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যেমন নতুন নেতৃত্বের দাবী তোলা হচ্ছে তেমনি দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় বর্তমান কমিটিকেও রাখার কথাও হচ্ছে। কিন্তু, সব কিছুই নির্ভর করছেন কেন্দ্রীয় নেতা ও দলের সভাপতির সিদ্ধান্তের উপর। আর সেক্ষেত্রে নতুন পুরনোর সমন্বয় হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিচ্ছে হাই কমান্ড। তবে যাই হোক স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন এবং অনুপ্রবেশকারী মুক্ত হবে জেলা কমিটি এমনটাই প্রত্যাশা তৃণমূল নেতাকর্মীদের।
সোমবার সকাল ১০টায় শহরের শহীদ আলাউদ্দিন শিশু পার্কে এই সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য মঞ্চ ও মাঠ ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে।
দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালী আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসেবে পরিচিত। গত কয়েক দশকে কৃষি ও মৎস্য নির্ভর এই জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এর পেছনে অন্যতম হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের দক্ষ নেতৃত্ব। জেলার চারটি আসনের সবগুলোই এখন আওয়ামী লীগের দখলে। এ কারণে গত কয়েক দশকে দলের নেতা কর্মীর সংখ্যাও বেড়েছে কয়েকগুণ। এমন পরিস্তিতিতে ২ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এবারের সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি শাহজাহান মিয়া ছাড়াও পটুয়াখালী ২ আসনের সংসদ সদস্য আ.স.ম ফিরোজ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান মোহন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান আহম্মেদ মৃধা, দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের নাম শোনা যাচ্ছে।
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেন ছাড়াও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মন্নান, গোলাম সরোয়ার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সৈমেদ্র চন্দ্র শৈলেন এবং ডা. শফিকুল ইসলামের নাম শোনা যাচ্ছে।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে ১৪ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে সময়ে এড. শাহজাহান মিয়াকে সভাপতি ও মরহুম খান মোশাররফ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হলেও খান মোশাররফ হোসেন ১ নভেম্বর ২০১৭ সালে মারা যান। সেই থেকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।