বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রংপুরের পীরগাছার কৃষকরা তিস্তার চরাঞ্চলে আগাম আলু চাষ করছেন। আগাম জাতের আলু চাষে ঝুঁকি কম ও লাভ বেশি। তাই কৃষকরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৮ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০ হেক্টরে আগাম জাতের আলু চাষ হবে। চরাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি আগাম জাতের আমন ধান লাগানো হয়েছিল। বর্তমানে ধান কাটা ও মাড়াই প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন চলছে আগাম আলু লাগানোর কাজ। এ জন্য জমি তৈরিসহ সার প্রয়োগ ও আলু রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) উপজেলার তিস্তা চরাঞ্চলের চর ছাওলা, গাবুড়ার চর, চর তাম্বুলপুর, রহমতের চর, শিবদেব চর ও চর জুয়ান গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, জমিতে আলু লাগানোর জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বেশির ভাগ জমিতে নারী শ্রমিকরা আলু রোপণের কাজ করছেন।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছরে দু’দফা বন্যায় কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তিস্তার নিকটবর্তী এলাকার কৃষকরা। সরকারি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তারা কোনো সহায়তা পাননি। ফলে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে তারা আগাম আলু চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের জুয়ানের চর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম জানান, চরাঞ্চলের মাটি আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী। চরের বালুতে বৃষ্টিপাত হলেও আলুর তেমন ক্ষতি হয় না। তাই আগাম আলু চাষে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
শিবদেব চরের কৃষক ফয়জার রহমান বলেন, ‘আগাম আলুর কেজি বিক্রি হবে প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। তাই বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগাম আলু চাষ করছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, আগাম আলু চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেশি। চরাঞ্চলের বালু মিশ্রিত পলি মাটিতে আগাম আলুর ফলন ভালো হয়। তাই কৃষকরা আগাম আলু চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।