দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্যান্য জেলার মতো যশোরেও শুরু হয়েছে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি। সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করলেও প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। ডাবল সেঞ্চুরীতে মঙ্গলবারও বিক্রি হয়েছে দেশি পেঁয়াজ। বাজারে সঠিক মনিটরিং না থাকায় অসাধু খুচরা ব্যবসায়ীরা ক্রেতার পকেট কাটছে অনায়াসে এমনটি অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।
জানা গেছে, যশোরে ৪৫ টাকায় কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। প্রতিদিন এক হাজার করে তিন দিনে তিন হাজার কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। প্রতি ক্রেতা ৪৫ টাকা দরে এক কেজি পেঁয়াজ ক্রয় করতে পারবেন। অন্যদিকে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রিতে ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। নির্ধারিত সময়ের আগেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সংস্থাটির পেঁয়াজ।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে যশোরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ ১৯০ থেকে ২১০ টাকা, মিশরের পেঁয়াজ ১৯০ টাকা, তুরস্ক ও চীনের পেঁয়াজ ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
যশোর বড় বাজারে সামাদ আলি নামে এক ক্রেতা জানান, 'টিসিবির যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সেটা নিম্নমানের ও স্বল্প পরিসরে। দীর্ঘ লাইন দিয়েও পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কাঁচা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসেছি। কিন্তু পেঁয়াজের দাম যেন ডাবল সেঞ্চুরী। প্রশাসনের দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি বলে তিনি দাবি জানান।'
বড় বাজারের জননী ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী জীবন মিয়া বলেন, পেঁয়াজের বাজারে প্রায় প্রতিদিনই দাম ঘুরছে। কোনো দিন বিশ টাকা বাড়ছে, আবার কোন দিন ১০ টাকা কমছে। দেশি পেঁয়াজের সাথে দ্রুত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে। তাহলে দেশের পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হবে।
টিসিবির খুলনা বিভাগীয় কর্মকর্তা রবিউল মোর্শেদ জানান, যশোরে ৩ হাজার কেজি পেঁয়াজ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা পর্যপ্ত নয়। যা পেঁয়াজ আছে তিন দিনেই শেষ হয়ে যাবে। টিসিবি আবার পেঁয়াজ পেলে যশোরের টিসিবি'র পেঁয়াজ বিক্রি হবে।
এ বিষয়ে যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বার্তা২৪.কমকে জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য জেলা প্রশাসন যশোরের ব্যবসায়ীদের সাথে একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। তারপরেও ফলপ্রসূ হচ্ছে না। এছাড়া নিয়মিত বাজার মনিটারিং অব্যাহত আছে।