নামেই শিক্ষক, বেতনশূন্য ১৯ বছর!

, দেশের খবর

কাজী কামাল হোসেন,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, নওগাঁ | 2023-08-10 02:43:53

সকল শর্তাদি পূরণ করার পরও এমপিও'র তালিকায় স্থান না পাওয়ায় হতাশা নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কুজাইল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষক-কর্মচারী। তারা বেতন পান না দীর্ঘ ১৯ বছর।

সকল শর্ত পূরণ করলেও এমপিওভুক্তির তালিকায় স্থান পায়নি বিদ্যালয়টি। এ অবস্থায় ওই বিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক, একজন নৈশপ্রহরী ও একজন লাইব্রেরিয়ান প্রায় ১৯ বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেকে শিক্ষকতার পাশাপাশি হালচাষ এবং টিউশনি করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোন রকমে জীবন যাপন করছেন।

জানা গেছে, জেলার রাণীনগর উপজেলায় ১৯৯৫ সালে ‘কুজাইল বালিকা বিদ্যালয়’ নামে একটি বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এরপর শিক্ষার্থী ভর্তি করে বিদ্যালয়টি চালু করা হয়। বিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান অনুযায়ী এবং যোগ্যতায় ১৯৯৯ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায় এবং ২০০০ সালে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এমপিও তালিকায় স্থান পায়। এরপর ২০০৪ সালে নিজস্ব পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়। শিক্ষকরা বলছেন, বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় ২৫৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

বিদ্যালয়ের ৯ম-১০ম শ্রেণীর অবৈতনিক ৬ শিক্ষক-কর্মচারী জানান, শূন্যপদে চাকুরিতে যোগদান করার পর থেকে বিনা বেতনে প্রায় ১৯টি বছর ধরে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। তারা আক্ষেপ করে বলেন, বছর জুড়ে কোন ঈদ কিংবা কোনো উৎসবে অন্যান্য শিক্ষকরা বেতন-বোনাসে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে উৎসব পালন করেন। কিন্তু উৎসব তো দূরের কথা টিউশনি ও হাল-কৃষি করে যেটুকু টাকা রোজগার হয় তা দিয়ে আমাদের সন্তানদের পড়াশোনা এবং সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পরে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাব্বেল হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের ৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে বিনা বেতনে চাকুরি করছেন। বিদ্যালয়টিতে পড়া-লেখার মান এবং স্বীকৃতির ভিত্তিতে গত ঘোষণার তালিকায় স্থান পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হলো না।

রাণীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জলিল শিক্ষক-কর্মচারীদের মানবেতর জীবন যাপনের কথা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ে পড়াশোনার মান ভাল। আশা করছি আগামীতে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর