বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব-গোবিন্দাসী-ভূঞাপুর ৭ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী চালক ও যাত্রীরা।
সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব-ভূঞাপুর সড়কে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। যদিও এই ৭ কিলোমিটার সড়ক ব্যবহারের জন্য পরিবহন থেকে টোল আদায় করছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
চালকদের অভিযোগ, প্রতিবছর বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষা গাইড বাঁধ হিসেবে পরিচিত ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব সড়ক থেকে পরিবহন থেকে টোল আদায় করছে। অথচ দীর্ঘদিন যাবৎ সড়কের বেহাল অবস্থার তৈরি হলেও এর সংস্কারে উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
এই সড়ক ব্যবহার করে জামালপুরের তারাকান্দি হতে উত্তরবঙ্গে ট্রাকযোগে সার ও বালুর ঘাটের বালুবাহী ট্রাকসহ শত শত পরিবহন চলাচল করছে। এতে খানাখন্দগুলো এখন গর্তে পরিণত হচ্ছে। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় এই সড়কে আরো দুর্ভোগ বেশি পোহাতে হয়। সড়কের মাটিকাটা বাজার, পুনর্বাসন, পাথাইলকান্দি বাজার, সিরাজকান্দি ও সেতু এলাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব-ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের গোবিন্দাসী-সেতু পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়ক সেতুর গাইড বাঁধ হিসেবে পরিচিত। এই ৭ কিলোমিটার শুধুমাত্র ট্রাক চলাচলে টোল ব্যবস্থা চালু করে সেতু কর্তৃপক্ষ। গত বছর এই সড়কে ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয় স্থানীয় মেসার্স সুমন এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। কন্ট্রাক্ট- ৭ নামের এই সড়কে বড় ট্রাক ১৫০টাকা, মাঝারি ট্রাক ১০০ ও ছোট ট্রাক ৪০টাকা হারে টোল আদায় করছে ইজারা পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব সাইট অফিস সূত্রে জানা গেছে, সড়কে ওয়েডিং ও প্রশস্তকরণ বা সড়কে ওভার লেপের জন্য কয়েক ধরনের প্রাক্কলন পাঠানো হয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ বরাবর।
স্থানীয়রা জানান, এই সড়কটি যেমন ব্যস্ততম সড়ক অন্যদিকে এই সড়কে বালুবাহী ট্রাক চলাচল করায় ধুলায় একাকার হয়ে পড়ে। সড়কটি খানাখন্দগুলো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সময় সড়কে পরিবহন নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে। সেতুর কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে সড়কের এই বেহাল দশা। সংস্কার বা চলাচলের জন্য কোনো কাজ করা হচ্ছে না।
সড়কের পাশে গড়ে উঠা ব্যবসায়ীরা জানান, বৃষ্টির সময় সড়কের পানি গাড়ির চাকার কারণে দোকান ঘরে চলে আছে। এতে দোকানের মালামাল নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া এই সড়ক ব্যবহারকারী অনেকেই খানাখন্দে পড়ে আহত হয়েছে।
সড়কে চলাচলকারী বালুবাহী ট্রাক চালক মোতালেব হোসেন বলেন, সড়ক ব্যবহার করতে কর্তৃপক্ষকে টাকা দিতে হচ্ছে। অথচ সড়কটি বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেয়নি সেতু কর্তৃপক্ষ।
সড়কে টোল আদায়ে নিয়োজিত সুমন এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনেকেই বলেন, প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহন চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের সহকারি প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বার্তা২৪.কমকে বলেন, সড়কটি সংস্কার কাজের জন্য কয়েকটি প্রাক্কলন তৈরি করা হয়েছে। অতিদ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।