আওয়ামী লীগের রাজবাড়ী জেলা শাখার পাঁচটি উপজেলা পাংশা, বালিয়াকান্দি, গোয়ালন্দ, কালুখালী, সদরসহ পৌরসভার কাউন্সিল করার ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জিল্লুল হাকিমের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করে সার্বিক পরিস্থিতি ব্যাখা করেন। রাজবাড়ীর সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি শোনার পর ওবায়দুল কাদের তার আগের দেওয়া নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সব কাউন্সিল করার নির্দেশ দেন।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এবং রাজবাড়ী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গঠনতান্ত্রিক বড় দল। দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন, আমরা কর্মীরা তার যুদ্ধের ময়দানের সৈনিক। তাই রাজবাড়ীতে গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। যারা ভিন্ন পথে হাঁটছেন, তাদের বলব, আপনারা সোজা পথে চলুন।
উল্লেখ্য, শনিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর নেতৃত্বে একদল নেতা জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদেরের কাছে। তারই প্রেক্ষিতে সেদিন রাতেই ওবায়দুল কাদের রাজবাড়ী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে জেলার সব কাউন্সিল স্থগিত করার নির্দেশ দেন। নওফেল তখনই মোবাইল ফোনে রাজবাড়ীর নেতাদের কাউন্সিল না করার নির্দেশ জানিয়ে দিয়েছিলেন।