চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার অনুপনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির অবস্থা খুবই বেহাল। বর্তমানে কোনো রকমে বাঁশের চাটাই দিয়ে ঘেরা ওই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭০ জন। মাত্র ৩টি জরাজীর্ণ শ্রেণিকক্ষে এসব শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিয়ে আসছেন শিক্ষকরা।
তবে একটু বৃষ্টি আর ঝোড়ো বাতাস আসলেই বিদ্যালয়টি ছুটি দিয়ে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কারণ যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। আর এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের অনুপনগর মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে অনুপনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদ্যালয়টিতে ৭৭ লাখ টাকায় নতুন ভবন নির্মাণের কাজ পায় আসমান নামে একজন ঠিকাদার। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ওই নতুন ভবন নির্মাণে অর্থায়ন করে।
কিন্তু বিদ্যালয়টিতে ৪ তলা ফাউন্ডেশনের ৪ রুম বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলেও অজ্ঞাত কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। কাউকে কিছু না বলে ভবনের কাজ বন্ধ রেখে চলে যায় ঠিকাদারের লোকজন। তারপর থেকেই বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে বেঞ্চের অভাবে অনেক শিক্ষার্থী মাটিতে বসে ক্লাস করছে। অনেক সময় খোলা আকাশের নিচেও ক্লাস করতে হয় তাদের। এছাড়া বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কোনো ভবন না থাকার কারণে জরুরি কাগজপত্র সামলাতে শিক্ষকদের প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইকবাল বাহার জানান, ১৯৯৮ সালে ৩৩ শতক জমির উপর বিদ্যালয়টি গড়ে ওঠে। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারি হয়। কিন্তু সরকারি হলেও বাঁশের চাটাই দিয়ে ঘেরা শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের। মাঝে মধ্যে খোলা আকাশের নিচেও ক্লাস করতে হয় তাদের।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কেন বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবন হলো না সে বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।