চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমনের ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দেশের খবর

মো.তারেক রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | 2023-08-22 10:02:40

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমন ধানের ফলন ভাল হলেও ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ধানের মূল্য এতটাই কম যে, উৎপাদন খরচও উঠবে না বলে অভিযোগ কৃষকদের। অন্যদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু হয়েছে, কৃষকরা আশানুরূপ ধানের দাম পাবেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল প্রায় ৫১ হাজার ১৬১ হেক্টর। তবে আমন চাষের শুরুতে কৃষকরা অনাবাদী জমি চাষাবাদের উপযোগী করে গড়ে তোলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ১ হাজার ৮১৭ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করেছে। অর্থাৎ এবছর জেলার ৫২ হাজার ৯৭৮ হেক্টর জমিতে কৃষকরা ধানের আবাদ করেছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ২২৫ মেট্রিক টন।

এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে ৩৯ হাজার ৩৭৫ ধান, নাচোলে ২২ হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমিতে ১ লক্ষ ১ হাজার ৬০১, গোমস্তাপুরে ১৪ হাজার ৮৪৩ হেক্টর জমিতে ৬৬ হাজার ৭৯৪, ভোলাহাটে ৪ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে ১৯ হাজার ৮০ ও শিবগঞ্জে ৭৫০ হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৩৭৫ মে. টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।

বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত ঝিলিমের ইসমাইলসহ কয়েকজন কৃষক জানান, এ বছর আমন ধানের উৎপাদন আশানারুপ হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ধানের দাম কম হওয়ায় কৃষকরা হতাশায় ভুগছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বরেন্দ্র অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ধান কাটা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কৃষক রজু জানান, আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এবং ফলনও হয়েছে ভাল। তবে, এ উৎসবে মলিন কৃষকের মুখ।

নাচোলের কৃষক রুহুল আমিন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ধানের উৎপাদন হয়েছে ১৪/১৫ মণ এবং বিঘা প্রতি জমিতে ধান চাষে কৃষকের খরচ হয়েছে সাড়ে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। উৎপাদিত ১২০ মণ ধান থেকে ২০ মণ ধান মজুরি হিসেবে শ্রমিককে দিতে হয়। সেখানে সাড়ে ৬০০ থেকে ৬৪০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করে লোকসান গুণতে হবে তাদের। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলালেও উৎপাদন খরচ উঠবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান কৃষক।

এদিকে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হুদা বার্তা২৪.কমকে জানান, এ বছর আবাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ১ হাজার ৮১৭ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৮২ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, লটারির মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে ১ হাজার ৪০ টাকা দরে ধান কেনা শুরু হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর