প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১০ মিনিটে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত

কুমিল্লা, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা | 2023-08-27 11:31:54

কুমিল্লায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে অজ্ঞাত (৩০) এক যুবকের মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিচয় শনাক্ত হওয়া ওই যুবকের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা পিবিআই প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ওসমান গণি পিপিএম বার্তা২৪.কমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পিবিআইয়ের আধুনিক প্রযুক্তিতে শনাক্ত হওয়া মৃত ওই যুবকের নাম মামুন মিয়া (৩০)। তিনি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার রাতুইল গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার মো. তাবির উদ্দিনের ছেলে। তবে মামুন কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে ফেরি করে কাপড় বিক্রি করতেন।

পিবিআই কুমিল্লা সূত্র জানায়, বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন বড়ধর্মপুর গ্রামস্থ হাজী আবুল হোসেনের বাঁশ বাগানের উত্তর পাশে কাঁঠাল গাছের সঙ্গে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় অজ্ঞাত (৩০) এক যুবকের মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পিবিআই, কুমিল্লাও এই খবর পায়। পরে কুমিল্লা জেলা ইউনিট প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ওসমান গণির (পিপিএম) নির্দেশে পিবিআইয়ের সদস্যরা একটি ক্রাইমসিন (অপরাধের আলামত) টিম গঠন করে ঘটনাস্থলে যায় এবং ছায়া তদন্তের কার্যক্রম শুরু করে।

এ সময় ঘটনাস্থলের ছবি উত্তোলন, ভিডিও ধারণ, মরদেহের ছবি উত্তোলন এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) সংগ্রহ করা হয়। পরে পিবিআই কুমিল্লা জেলা আধুনিক প্রযুক্তিতে ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে অজ্ঞাত ওই মরদেহের নাম ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।

পরে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করে মৃত ব্যক্তির ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হয়। এরপর ওই মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে তার স্থায়ী ঠিকানা ও আত্মীয়-স্বজনের ঠিকানা পাওয়া যায়। এরপর তার স্বজনদের খবর দেয়া হয়। পরে স্বজনরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়।

এর আগে কুমিল্লা মেডিকেলে মামুন মিয়া নামের ওই যুবকের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এছাড়া এই ঘটনায় সদর দক্ষিণ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে এবং পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর